কলকাতা : আজ, ২০ দিনে পড়ল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের অনশন। এদিকে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রতীকী অনশনে যোগ দিয়েছেন অভিভাবকরা। অধ্যক্ষ পদত্যাগ করলেই সমস্যার সমাধান হবে বলে মত তাঁদের। আরজি কর কর্তৃপক্ষের তরফে পাল্টা জানানো হয়েছে, আলোচনার দরজা খোলা আছে । অনশনরত ৬ পড়ুয়ার মধ্যে একজন সিসিইউ-তে ভর্তি। এদিকে প্রতিবাদ মিছিল শেষে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও এক অনশনকারী। বাকি পড়ুয়ারা এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে ইন্টার্ন চিকিত্‍সকদের একাংশ মেন্টর গ্রুপের সঙ্গে আলোচনায় বসে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে, একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও সমর্থন রয়েছে।


অধ্যক্ষের ইস্তফা, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন দাবিতে এখনও আন্দোলনে অনড় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের একাংশ। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক বৈঠকেও মেলেনি রফাসূত্র। আন্দোলনে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েন একাধিক পড়ুয়া। আন্দোলনস্থলেই তাঁদের স্যালাইন দিতে হয়। পড়ুয়াদের একাংশ অভিযোগ জানান, তাঁদের বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে পুলিশ। যাতে, তাঁরা সন্তানদের আন্দোলন তুলে নিতে বলেন। শুধু তাই নয়, অভিভাবকদের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। আর এসব কিছুতেই নাকি ইন্ধন দিচ্ছেন অধ্যক্ষ।


আন্দোলনরত পড়ুয়া অভিযোগ জানান, বাড়িতে পুলিশ গেছে। হুমকি দিয়েছে। অসুস্থ মা-বাবা। এতে আরও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আর এনিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে, তিনি চরম দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এরপরই অধ্যক্ষের ঘরের সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ। এদিকে, ইন্টার্ন ও হাউস স্টাফদের একাংশ, আন্দোলনের সমর্থনে কর্মবিরতির ডাক দিলেও, জরুরি পরিষেবা ও ট্রমা সেন্টারে পরিষেবা চালানো হবে বলে জানান। 


যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি জানান, পড়ুয়াদের অনেক দাবি দাওয়াই মেনে নেওয়া হয়েছে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশের আন্দোলনকে সমর্থন জানায় ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনের বৈঠকে ইনটার্ন এবং জুনিয়র ডাক্তারদের গরহাজিরা সংক্রান্ত তথ্য মেমো আকারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয় বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে দাবি। দিনকয়েক আগে মোহিত মঞ্চে এই ইস্যুতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। তার পরেও জারি অচলাবস্থা। এনিয়ে অতীন ঘোষ বলেন, "আন্দোলনকারীরা বৈঠকে ছিল। হোস্টেলের দাবি রাতারাতি পূরণ সম্ভব নয়। অচলাবস্থা দীর্ঘদিন চলতে পারে না। ছাত্রদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আন্দোলনে পেছন থেকে ইন্ধন রয়েছে।"