কলকাতা: শহরের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গাফিলতির অভিযোগ। পরিবারের লোকজনদের দাবি, তাঁদের রোগী মারা গিয়েছেন বলে হাসপাতাল থেকে গতকাল বাড়িতে ফোন যায়। পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। গত ১১ এপ্রিল বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই রোগী।
আজ সকালে কিন্তু মর্গে দেহ নিতে যান পরিজনরা। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের বলে যে, দেহ দেওয়া যাবে না। কারণ, তাঁদের রোগীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাই দেহ তারা পাবেন না।
এরইমধ্যে হাসপাতালের একটি বিল্ডিংয়ের ওপরের বাথরুমের অংশ দেখে এক পরিজনের নাম ধরে ডাকেন ওই রোগী। তিনি চমকে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সঙ্গীদের তা জানান। পুরো ঘটনায় হতবাক হয়ে যান পরিজনরা। সম্বিত ফিরে পেয়ে বাড়ির লোকেরা বুঝতে পারেন, ওই রোগী বেঁচে রয়েছেন। তাঁরা আবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে যান।অভিযোগ, তখন তাঁদের বলা হয় যে, এটি তাঁদের 'চোখের ভুল', তাঁরা ভুল দেখেছেন। এমনকি, তাঁদের ভিডিও তুলে প্রমাণ দেখাতে বলা হয় বলেও অভিযোগ।
পরে রোগীকে ছাড়ার ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টালবাহানা করে বলে অভিযোগ পরিবার। ওই ব্যক্তির স্ত্রী বলেন, কাল থেকে তাঁদের ওপর ঝড় বয়ে গিয়েছে। তারপর এদিনের এই ঘটনা। স্বামীকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেয়ে পুরো ঘটনায় চোখের জল সামলাতে পারেননি ওই মহিলা। তিনি জানিয়েছেন, গতকালও তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখনও সুস্থ ছিলেন তাঁর স্বামী। এর পরই যে ঘটনা ঘটল তা যেন তিনি এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না।
সাবির মোল্লা নামে ওই রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে আপাতত বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ফোন গিয়েছিল বাড়ির লোকের কাছে। এরপরই শোকবিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু হাসপাতালে পুরো ঘটনায় তাঁরা কার্যত হতভম্ব হয়ে পড়েন। স্বজনকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেয়েছে পরিবার। গোটা ঘটনার খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিস্তারিত আসছে..