কলকাতা: আনলক-পর্বে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা শুরু হলেও, কোভিড-১৯ হটস্পট থেকে কলকাতাগামী বিমান ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত আসবে না। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত দিল্লি, মুম্বই, পুণে, চেন্নাই, নাগপুর ও আমদাবাদ থেকে কোনও বিমান কলকাতায় আসবে না।


এই মর্মে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের সচিব এস খারোলাকে সোমবার একটি চিঠি লিখে রাজ্যের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বলা হয়েছে, কলকাতায় করোনাভাইরাসের প্রকোপে রাশ টানতে এই ৬ শহর থেকে কলকাতাগামী বিমান অবতরণে আগামী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এর আগে, ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এখন সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ অগাস্ট করা হল।


এর পাশাপাশি এ-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সাপ্তাহিক লকডাউনের জন্য আগামী ২০, ২১, ২৭, ২৮ ও ৩১ তারিখ কলকাতা বিমানবন্দরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ, এই দিনগুলিতে বিমানবন্দরে কোনও বিমান উড়বে বা অবতরণ করবে না।



প্রসঙ্গত, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮ হাজার ৪৫৯। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯০৫ জন। এর মধ্যে কলকাতায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬১৮ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় ৪৯২ জন। এরপরই রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। যেখানে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২১৮ জন। হাওড়া একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০৯ জন।


এই নিয়ে টানা পাঁচদিন ধরে রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৯০০-র ওপরে। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হন ২ হাজার ৯৫৪ জন। শুক্রবার ২ হাজার ৯১২ জন। শনিবার ২ হাজার ৯৪৯। রবিবার ২ হাজার ৯৩৯। সোমবার একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ২ হাজার ৯০৫।


অন্যদিকে, সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জন করোনা আক্রান্তের। এর মধ্যে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায়। কলকাতায় ১৪ জন। এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ১২ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে মোট ২ হাজার ১০০ জন করোনা আক্রান্তের।


তবে এর মধ্যে স্বস্তির খবর বলতে ঊর্ধ্বগামী সুস্থতার হার। সোমবার রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৭১.৪৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২০৮ জন। এই নিয়ে রাজ্যে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হলেন মোট ৭০ হাজার ৩২৮ জন।