কলকাতা : ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আদালতে অস্বস্তিতে রাজ্য। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ। আর্জি খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে ৫৪১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে একটিও অভিযোগ জমা পড়েনি। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন।
গত ১৮ জুন কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি বিশেষ কমিটি গঠন করবে। তারা এরাজ্যে এসে গোটা প্রক্রিয়াটা অনুসন্ধান করে দেখে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করবে। সেই নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে রাজ্যের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে এই পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের কাছেই আজ আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনই খারিজ হয়ে গেল হাইকোর্টে।
বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের মন্তব্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে ৫৪১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অথচ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে একটিও অভিযোগ জমা পড়েনি...এমনটা কেন হবে ? এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল বলেন, ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার প্রায় দেড় মাস পরেও এখনও বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে। মূল অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশ একাধিক জায়গায় এখনও অভিযোগ গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ। যে অভিযোগগুলি দায়ের করা কোনওভাবে সম্ভব হচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কী তদন্ত হচ্ছে ? কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে তা এখনও আদালতের কাছে স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। দিল্লি সফরের আগেও বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে যান তিনি। চিঠিতে রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা, রক্তপাত, মানবাধিকার লঙ্ঘন থামছে না। নারী নির্যাতন, বিরোধীদের সম্পত্তি ধ্বংস হয়েই চলছে। অথচ, এই নিয়ে আপনি আশ্চর্যজনকভাবে নীরব এবং নিষ্ক্রিয়। বারবার দৃষ্টি আকর্ষণের পরেও, মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় একদিনও এ ব্যাপারে আলোচনা করেননি।