কলকাতা: গার্ডেনরিচে ঘরে ঢুকে হাত-পা-মুখ বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ ও লুঠপাঠের অভিযোগের ঘটনায় আজ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। গতকালই গণধর্ষণ ও লুঠপাঠের ঘটনার তদন্তে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছিল লালবাজার। প্রাথমিক তদন্তের পর গোয়েন্দাদের দাবি, চাবি দিয়ে তালা খুলেই ঘরে ঢুকেছিল অভিযুক্ত যুবক।
খাস কলকাতায় দিনে দুপুরে ঘরে ঢুকে হাত-পা মুখ বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ ও লুঠপাটের অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার তদন্তে এক অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছিল লালবাজার। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সিট- এর গোয়েন্দারাই বৃহস্পতিবার গার্ডেনরিচের বাতিকল এলাকা থেকে আসগর শাহ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।
জানা গিয়েছে, গার্ডেনরিচ থানার পাহাড়পুর রোড এলাকায় একটি বহুতলের দোতলায় ভাড়া থাকে এক ব্যবসায়ী পরিবার। ওই পরিবারের সদস্য নির্যাতিতা তরুণীর দাবি, মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ তিনি ফ্ল্যাটে একা ছিলেন। তাঁর বাবা-মা-দাদা কাজে গিয়েছিলেন। তরুণীর অভিযোগ, 'সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী ফ্ল্যাটে ঢুকে তাঁর হাত-পা-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। আলমারি ভেঙে লুঠ করে লক্ষাধিক টাকা ও সোনার গয়না। '
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণীকে শারীরিক নিগ্রহের প্রমাণ মিলেছে। তবে তদন্তকারীদের খটকা লাগে অন্য জায়গায়, ' হাত-পা-মুখ বাঁধার আগে কি তরুণী চিত্কার করেছিলেন? যদি চিত্কার করে থাকেন, তাহলে আশপাশের বাড়ির কেউ তা শুনতে পেলেন না কেন? আসগর শাহকে গ্রেফতার করার পর অবশ্য এই তদন্ত অন্যদিকে মোড় নিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে দাবি, আসগর নামে ধৃত ওই যুবক তরুণীর বন্ধু। পেশায় তিনি ইলেকট্রিশিয়ান। পুলিশ আরও জানিয়েছে, কোনওভাবে ঘরের চাবি জোগাড় করেছিল অভিযুক্ত। ঘটনার দিন চাবি দিয়ে দরজা খুলেই অভিযুক্ত ঘরে ঢোকে। আর তার পরই এই কাণ্ড ঘটায়। ধৃতের কাছ থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা, গয়না ও মোবাইল উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।