সত্যজিৎ বৈদ্য ও আবীর দত্ত, কলকাতা: কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে ভুয়ো আইএএসের কীর্তিতে যখন হতবাক বাংলা। তখন কসবা থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে গড়িয়ায় এবার মানবাধিকার কমিশনের সচিব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ।
অভিযুক্ত গড়িয়ার বাসিন্দা বাপ্পাদিত্য সাহা। নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা সৌভিক দেবনাথের অভিযোগ, ধাপে ধাপে তাঁর কাছ থেকে ২ লক্ষ ৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বাপ্পাদিত্য।
সৌভিকের আরও অভিযোগ, রবিবার টাকা চাইতে গড়িয়ার বাড়িতে গেলে তাঁর ওপর চড়াও হন বাপ্পাদিত্য ও তাঁর স্ত্রী।
সৌভিক দেবনাথের দাবি, মাস ছয়েক আগে বিয়ে হয় তাঁর। কিছুদিন পরই সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ করতে চান তিনি।
কিন্তু বিয়ের এত কম সময়ের মধ্যে বিচ্ছেদে আইনি জটিলতার পথ এড়াতে চেয়েছিলেন। সেসময় এক বন্ধুর সূত্রে পরিচয় হয় গড়িয়ার বাসিন্দা বাপ্পাদিত্য সাহার সঙ্গে।
বাপ্পাদিত্য নিজেকে মানবাধিকার কমিশনের সচিব বলে পরিচয় দেন। প্রতিশ্রুতি দেন বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়ে দেওয়ার।
দাবি মতো বাপ্পাদিত্যকে টাকা দেন সৌভিক। কিন্তু কোনও কিছু না করেই টাকার অঙ্ক বাড়তে থাকায় সন্দেহ হয়।
অভিযোগকারী বলেন, বাপ্পাদিত্য বলেছিল বিবাহ বিচ্ছেদ করে দেব। বন্ধুর সূত্রে যোগাযোগ হয়। টাকা বাড়তে থাকে। ২ লক্ষ ৯ হাজার টাকা দিই। বুঝতে পারি প্রতারিত। কাল বাড়ি গেলে চড়াও হয় বাপ্পাদিত্য ও তাঁর স্ত্রী।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগই অস্বীকার করেছেন বাপ্পাদিত্য সাহা। বলেন, আমি চিনি না। এসব কিছু জানি না।
সোমবার বাঁশদ্রোনী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সৌভিক দেবনাথ।
এদিকে, ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে গত বছর সল্টলেকের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার মৌখিক অভিযোগ করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেবাঞ্জনের বাড়ির লোক সে সময় জানতে পারেন, তিনি ভুয়ো আইএএস। এমনকী দেবাঞ্জন ভুয়ো আইএএস সেজে বেশ কয়েক জায়গায় তল্লাশিও চালান।
পাশাপাশি, কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমারের সই জাল করার অভিযোগ উঠেছে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, দেবাঞ্জন তাঁর কর্মীদের আই কার্ড ইস্যু করতেন।
সেই আই কার্ডে পুর কমিশনারের জাল সই ব্যবহার করতেন দেবাঞ্জন। সংস্থার তিন কর্মী আজ আলিপুর আদালতে এ নিয়ে অভিযোগ করেন।