কলকাতা:  ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে প্রথমবার সোমবার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি জানান, যে প্রতারক তার নাম মুখে এনে প্রতারককে জনপ্রিয় করার দরকার নেই। চোর-ডাকাত-প্রতারকদের নাম নেওয়ার দরকার নেই। 


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে প্রতারক ধরা পড়েছে, তার এত ঔদ্ধত্য, সাহস, অহঙ্কার যে সমস্ত নথি ঠগ করেছে। সরকারের এতে কোনও ভূমিকা নেই। সরকার এটা করেনি। 


অনেকে এসে মানুষকে বলেন, এই চিটফান্ডে টাকা রাখুন। সরল মানুষ তাতে টাকা রাখে, আর পায় না। প্রতারকরা পালিয়ে যায়। এরকম কিছু লোক আছে, দেখতে সুন্দর, সেজেগুজে থাকে। চারদিকে প্রতারণা করে বেড়ায়। 


মমতা বলেন, এই প্রতারকরা কখনও মুখ্যমন্ত্রী, কখনও প্রধানমন্ত্রীর সই নকল করে। কখনও সরকারের সই নকল করে। এটা কেউ ভোলেনি যে সংসদ হামলার সময় জঙ্গিরা লালবাতি লাগানো গাড়ি করে গিয়েছিল হামলা করতে। 


মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, যারা এসব কাজ করে, তারা মানুষ নয়। বললেন, আমি তাদের মানুষ বলে মনে করি না। এরা অমানুষের পর্যায়েও পড়ে না। মানুষের জীবন নিয়ে যারা খেলে, এরা সন্ত্রাসবাদীর চেয়েও ভয়ঙ্কর। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 


মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেন, ইতিমধ্যেই সিট গঠন হয়েছে। আমি নিজে পুলিশ কমিশনারের  সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। এই ইস্যুতে কোনো রেয়াত নয়। যারা তাকে সাহায্য করেছে, কাউকে ছাড়া হবে না। 


মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘ছবি দেখিয়ে প্রতারণা করা হল ঠকবাজদের কাজ। বলেন, এরা রাস্তায় গন্যমান্য লোক দেখলে সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে রাখে। সেলফি তুলে রাখে। 


আমি অনেক সময় একারণে রাজি হই না। এটা মনে রাখতে হবে, ছবি তুলে কোনও লাভ নেই। এরা সব পার্টির সঙ্গে একটা করে ছবি তুলে রেখে দেয়। 


মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেন, আমার ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। সবাইকে পরামর্শ দেব, এধরনের প্রতারকদের থেকে দূরে থাকুন। এধরনের ঠকবাজ সমাজে রয়েছে। এদের ওপর নজর রাখতে হবে। এবিষয়ে পুলিশ ও পুরসভাকে সতর্ক করা হয়েছে।