কলকাতা: নিখিল জৈনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে গতকালের বিবৃতির পর নুসরত জাহানকে আক্রমণ করল বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।


এদিন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ট্যুইটে নুসরতের সংসদে শপথ নেওয়ার ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান রুহি জৈনের ব্যক্তিগত জীবন, তিনি কাকে বিয়ে করেছেন বা কার সঙ্গে থাকছেন, তা নিয়ে কারোর মাথা ব্যথা থাকা উচিত নয়। কিন্তু তিনি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সংসদের রেকর্ডে নিখিল জৈনকে তাঁর স্বামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাহলে কি তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যা বলেছিলেন?


২০১৯-এর জুন মাসে নুসরত জাহানের ফেসবুক ওয়ালে ছিল তুরস্কের ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের ছবি। তারপর সাংসদ হিসেবে শপথ নেন শাঁখা-সিঁদুর পরে, একেবারে বাঙালি বধূর সাজে। এখনও লোকসভার ওয়েবসাইট দেখাচ্ছে তিনি বিবাহিত। স্বামীর নাম নিখিল জৈন।  বিয়ের তারিখ ২০১৯-এর ১৯ জুন। আর এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই এদিন অভিনেত্রী-তৃণমূল সাংসদকে কটাক্ষ করেন মালব্য। 


যদিও, জবাব দিতে দেরি করেনি তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়বেন না। গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অতীতের হলফনামা দেখে মন্তব্য করুন।"


প্রসঙ্গত, বিবাহ-বিতর্কে গতকাল মুখ খোলেন নুসরত জাহান। বুধবার বিবৃতি দিয়ে তিনি দাবি করেন, আইন মতে তাঁর বিয়েই হয়নি। তিনি লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। সেই সঙ্গে নিখিল জৈনের বিরুদ্ধে গয়না এবং সম্পত্তি আটকে রাখার অভিযোগ তুলে নুসরত হুঁশিয়ারি দিলেন, শীঘ্রই এনিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হবেন তিনি। 


নুসরতের দাবি, বিদেশের মাটিতে তুরস্কের বিবাহ আইন অনুযায়ী, এই অনুষ্ঠান অবৈধ। যেহেতু এটি আন্তঃধর্মের বিয়ে, এতে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে সিলমোহর প্রয়োজন। যা হয়নি।  বিবৃতিতে নুসরত জাহান আরও দাবি করেছেন, অনেক আগেই আমরা আলাদা হয়ে গেছি। ব্যক্তিগত জীবনকে আড়ালে রাখতে চাই বলে আমি এনিয়ে কিছু বলিনি। যাকে বিয়ে বলে দাবি করা হচ্ছে, তা আইনি এবং বৈধ নয়। আইনের চোখে এটা বিয়েই নয়।


এখানেই থামেননি নুসরত। নাম না করে সেই নিখিল জৈনের বিরুদ্ধে কার্যত টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন নুসরত। জামাই চারশো বিশ ছবির অভিনেত্রী বিবৃতিতে দাবি করেছেন,  যে ব্যক্তি বলছেন, তিনি ধনী এবং আমি তাঁকে ব্যবহার করেছি, তিনি নিজেই বেআইনিভাবে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে সেখান থেকে টাকা  নিয়েছেন। আলাদা থাকতে শুরু করার পরও, রাতবিরেতে অদ্ভুত সময়ে তিনি এই কাজ করেছেন। আমি ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। শীগ্রই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করব। 


অতীতে তাঁর অনুরোধেই আমার পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য তাঁকে দিয়ে দেওয়া হয়। সেই অ্যাকাউন্টের বিষয়ে ব্যাঙ্ককে কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা আমার পরিবারের কেউ জানে না। আমার অনুমতি ছাড়া বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের টাকা তিনি নয়ছয় করেছেন। আমি এখনও ব্যাঙ্কের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছি। প্রয়োজনে প্রমাণ পেশ করব।