কলকাতা: একের পর এক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। তা নিয়ে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু এ বার হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনেই ঝামেলা বাধল। ঠিক কী কারণে এই ধামেলার সূত্রপাত, তা জানা যায়নি। তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বয়কটের দাবিতে সরব বার অ্যাসোসিয়েশন দ্বিধা বিভক্ত বলে জানা গিয়েছে। তা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও বাধে বলে জানা গিয়েছে।


নালিশ জমা পড়েছে প্রধান বিচারপতির কাছে


বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই নালিশ গিয়ে পৌঁছেছে বিচারপতির কাছে। তিনি রেজিস্ট্রার জেনারেলকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে হাইকোর্ট সূত্রে খবর, সিঙ্গল বেঞ্চ বয়কটের দাবিতেই ‘বিভক্ত’ বার অ্যাসোসিয়েশন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ বয়কটের দাবিতেই এ দিন ‘হাতাহাতি’ হয়। বার অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে আইনজীবীদের মধ্যে বিভাজন দেখা দিয়েছে। তা নিয়ে ঝামেলা চরমে পৌঁছয়।


আরও পড়ুন: SSC Row in TMC: 'আমরা দলের শৃঙ্খলাপরায়ণ কর্মী', পার্থর হয়ে জবাব ফিরহাদের, নিশানায় কি কুণাল!


উল্লেখ্য, এর আগে গত সপ্তাহেই সিবিআই তদন্ত নিয়ে হাইকোর্টে হালকা চালে রসিকতার খবর সামনে এসেছিল। জানা যায়, এসএসসি দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতির উদ্দেশে প্রাক্তন এসসি কর্তা শান্তিপ্রসাদ সিনহার আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য বলেন, ''সবাই চাইছে সব মামলা আপনার এজলাসে হোক।'' এর প্রত্যুত্তরে হালকা হেসে বিচারপতি বলেন, ''আমি তো শুনলাম, আমার ছবি নিয়ে লোকে জিজ্ঞাসা করছে, এই জজ কোথায় বসেন।''


সম্প্রতি একের পর এক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট


উল্লেখ্য, ঝালদায় কংগ্রেস নেতা খুন হওয়া থেকে, রামপুরহাটে ভাদু শেখ খুন, বগটুইয়ের অগ্নিকাণ্ড, এসএসসি, হালফিলে একের পর এক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নিয়ে বিচারপতি নেতৃত্বাধীন সিঙ্গল বেঞ্চের সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চের মধ্যে মতপার্থক্যও সামনে এসেছে। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় ডিভিশন বেঞ্চে পাল্টে গিয়েছে একাধিক বার। মঙ্গলবারই এসএসসি-র গ্রুপ ডি নবম-দশম নিয়োগ মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই-এর সামনে হাজিরার নির্দেশ দেয় আদালত। মঙ্গলবারই বিকেলে সাড়ে ৫টার মধ্যে সিবিআই দফতরে পৌঁছতে বলা হয় তাঁকে। 


এর পর ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন পার্থ। তাতে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে স্থগিতাদেশ বসানো হয়। মঙ্গলবার বিকেলেই পার্থকে সিবিআই দফতরে যেতে হবে না বলে জানায় ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার সকালে ফের বিষয়টি নিয়ে শুনানি রয়েছে। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই এ দিন বিকেলে বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে ঝামেলা বাধে।