সমীরণ পাল,  উত্তর ২৪ পরগনা: ফের ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ উঠল। এবার উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। ভোটারের বিধানসভা কেন্দ্রই পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বাগদার ভোটারের নাম, বাবার নাম, এপিক নম্বর এক। পাল্টে গেছে ছবি। নাম চলে গেছে হুগলির পাণ্ডুয়ায়। মহাদেব দাস। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার!অভিযোগ, SIR আবহে তাঁরই নাম বাগদা থেকে একেবারে গঙ্গা পেরিয়ে চলে গেছে হুগলির পাণ্ডুয়া বিধানসভায়! বাগদায় অভিযোগকারী ও বাসিন্দা মহাদেব দাস বলেন, একই এপিক নম্বর, বাবার নাম এক। ছবি অন্য লোকের, আমার ছবি নয়। 

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, ব্যবসায়ীর থেকে TMC নেতার টাকা নেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তোলপাড়, বান্ডিল বান্ডিল টাকা নেওয়ার ছবি ভাইরাল !

Continues below advertisement

কেউ ইহলোকে থাকলেও, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ গেছে!আবার কেউ মারা যাবার কয়েক বছর পরও, নাম রয়ে গেছে ভোটার তালিকায়!২০০২ সালের ভোটার তালিকার হার্ড কপিতে নাম থাকলেও, কমিশনের আপলোড করা তালিকায় নাম পাওয়া যায়নি অনেকের!আবার কেউ বৈধ ভোটার হওয়া সত্ত্বেও বাড়িতে পৌঁছয়নি এনুমারেশন ফর্ম! SIR-আবহে গত কয়েকদিনে এরকম নানা অভিযোগ সামনে এসেছে। কিন্তু এবার ভোটারের বিধানসভা কেন্দ্রই বদলে যাওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়!ইনি মহাদেব দাস। বাগদার হেলেঞ্চা পারকৃষ্ণচন্দ্রপুরের বাসিন্দা। এনাকে ঘিরেই ফের উঠেছে,ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ।  নাম, বাবার নাম এমনকী এপিক নম্বরও এক। শুধু বদলে গেছে ছবি! শুরু থেকেই যিনি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার ভোটার ছিলেন, তাঁরই ভোট এখন চলে গেছে হুগলির পাণ্ডুয়ায়! অভিযোগ, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল।পরিবারের দাবি, ২০২৪ সালেও মহাদেব দাস ভোট দিয়েছেন বাগদায়। অথচ এবার SIR-এর এনুমারেশন পর্বে, বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা এনুমারেশন ফর্ম পেলেও তাঁর ফর্ম আসেনি। ভোটার তালিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁর নামের পাশে লেখা ডিলিটেড!বাগদা অভিযোগকারী ও বাসিন্দা মহাদেব দাস বলেন,  আমরা ৫ জন পরিবারের। ৪টে পেয়েছি (এনুমারেশন ফর্ম), আমারটা পাইনি। একই এপিক নম্বর, বাবার নাম এক। ছবি অন্য লোকের, আমার ছবি নয়।  কিন্তু তারপর দেখা যায়, তাঁর ভোট চলে গেছে হুগলির পানডুয়ায়। তবে নাম, বাবার নাম, এপিক নম্বর সব এক থাকলেও বদলে গেছে ছবি! হেলেঞ্চা পারকৃষ্ণচন্দ্রপুর BLO বাদলকৃষ্ণ হালদার বলেন, সার্চিং করে দেখা যাচ্ছে সেই ভোট পাণ্ডুয়ায় চলে গেছে। ওখানের যে BLO আছে তার সঙ্গে আমি কথা বলেছি। কথা বলে নিশ্চিত করেছি, ওই ভোটটা আমার পার্টেরই ভোট, কোনও মিসটেক হয়েছে বা ভুলবশত ওখানে চলে গেছে। ওর যে এনুমারেশন ফর্ম দিয়েছে, সেই ফর্মে ওর ছবিটা পাণ্ডুয়ার সেই ভদ্রলোকের। বিষয়টি বিডিও অফিসে জানিয়েছেন বাগদার বাসিন্দা। থানাতেও অভিযোগ করেছেন। হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান  রূপা হালদার বলেন, SIR-এ কোনও প্রকৃত ব্যক্তি যাতে বাদ না পড়ে। ইনি যে সঠিক সেটা নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে দেখুক। ইনি সঠিক হলে আমরা অবশ্যই ওঁর পাশে আছি। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১৬ ডিসেম্বর। চূড়ান্ত তালিকা ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে সব ভুল শোধরানো যাবে তো? প্রশ্ন উঠেছে।