কলকাতা:  ভবানীপুরে প্রচারে বেরিয়ে ফের পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। তিনি আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী তথা এই আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি যে ওয়ার্ডে, সেই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করছিলেন। কালীঘাট রোড থেকে যে গলি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের দিকে গেছে, সেদিকে বিজেপি প্রার্থী যেতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। স্থানীয় সূত্রে দাবি, পুলিশ জানায়, ওই গলিগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি আছে। তাই এত লোক নিয়ে ওই জায়গায় যাওয়া যাবে না।  এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসাও হয় বিজেপি প্রার্থীর।  


এরপর বিজেপি প্রার্থী হরিশ মুখার্জি রোডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দিকে প্রচারে যেতে গেল ফের পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। সূত্রের খবর, পুলিশ জানায়, ওই এলাকা হাই সিকিওরিটি জোন। তাই সশস্ত্র রক্ষী নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে কারও যাওয়ার অনুমতি নেই।  বিজেপি প্রার্থী দাবি জানান, তাঁকে লিখিতভাবে আপত্তির কথা জানাতে হবে।  তখন পুলিশের তরফে বিকল্প প্রস্তাবও দেওয়া হয়।  প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ছিলেন সশস্ত্র কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষী।  কিছুক্ষণ বচসার পর প্রিয়ঙ্কা একটি গাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়ের বাড়ি পেরিয়ে গিয়ে কিছুটা দূরে নামেন। তারপর আবার তিনি প্রচার শুরু করেন।  


প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল পুলিশের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন।  তিনি বলেছেন, মানুষের কাছে তিনি যাওয়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু পুলিশ তাঁকে আটকাচ্ছে। আগামী ৩০ তারিখের নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবেন। পুলিশ নির্দিষ্ট একটি পার্টির হয়ে কাজ করছে। তিনি পুরো ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। 


উল্লেখ্য,  ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রচারে মাঝেমধ্যেই  চমক দিচ্ছেন  বিজেপি প্রার্থী। কয়েকদিন আগেই তৃণমূল কর্মীদের কাছেও  ভোট চাইতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাঁকে দেখে জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরের বাড়ি গিয়ে  প্রচার করেছিলেন। সেই সঙ্গে তাঁর সঙ্গে ঘোরা সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীদের নিয়ে  প্রশ্নও তুলেছিলেন। বিধিভঙ্গের দায়ে কমিশনের কাছে দোষী সাব্যস্ত করতেই সাদা পোশাকে ঘুরছে পুলিশ। এমনই অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী। তুলেছিলেন নজরদারির অভিযোগ। ভিড়ের কথা বলে নজরকাড়ার চেষ্টা করছেন বিজেপি প্রার্থী, পাল্টা কটাক্ষ করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম।