অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: খিদিরপুরে কলকাতা পুরসভার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের জলমগ্ন এলাকা ঘুরে দেখলেন ফিরহাদ হাকিম। এই ওয়ার্ড ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ছে। এখানেই আজ বিকেলে প্রচারে আসার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 


মঙ্গলবার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের জলমগ্ন সুধীর বসু রোডে দাঁড়িয়ে উপস্থিত পুর আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান।  দ্রুত জল নামানোর জন্য তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেন ফিরহাদ হাকিম। তবে পুরসভা সূত্রে খবর, গঙ্গায় জলস্তর এখনও বেশি। ফের  বৃষ্টি হলে জল নামানো তো দূর অস্ত, উল্টে আরও জল জমতে পারে।


এদিকে শুধু দক্ষিণ কলকাতা নয়, উত্তর কলকাতারও একাধিক এলাকা এখনও জলমগ্ন। সিঁথির মোড় থেকে ডানলপগামী বিটি রোডের বড় অংশ এখনও জলমগ্ন।  জল জমে রয়েছে টালা, দমদম, বরানগর , চিত্‍পুর, বাগবাজার, শ্যামবাজার, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশে।   


আরও পড়ুন, পেটের টানে ত্রাণ নিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, মর্মান্তিক মৃত্যু জলমগ্ন মেদিনীপুরে


সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে বিভিন্ন জায়গা এখনও জলমগ্ন। কোথাও কোথাও হাঁটু সমান জল। জমা জল দেখে অনেকে গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যাচ্ছেন।  নবদিগন্তের কর্মীরা জল সরানোর কাজে নেমেছেন। রাস্তার নিকাশী নালার ঢাকনা খুলে দেওয়া হচ্ছে যাতে দ্রুত জল নামতে পারে।    


অন্যদিকে, রবিবার থেকে প্রবল বর্ষণের জেরে জলমগ্ন হাওড়া শহর এলাকার একাধিক ওয়ার্ড। সোমবার দিনের বেলায় এবং রাতে দফায় দফায় বৃষ্টির ফলে অনেক এলাকায় জল নামার আগেই জলস্তর বেড়ে যায়। হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর কমপক্ষে ত্রিশটা ওয়ার্ডে জল দাঁড়িয়ে আছে। কোথাও হাঁটু সমান জল বা কোথাও তার বেশি জল জমে আছে। টিকিয়াপাড়া, পঞ্চাননতলা, সালকিয়া, লিলুয়া, বেলগাছিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। অন্যদিনের তুলনায় রাস্তাঘাটে কম গাড়ি যাতায়াত করছে। হাওড়া পুরসভা থেকে দাবি করা হচ্ছে পাম্প হাউসগুলো চালানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত পাম্প চালিয়ে জল নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।