কলকাতা: বিজেপির ভোট প্রচারে ভবানীপুরে উত্তেজনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের প্রচার আটকাল পুলিশ। সুকান্তর সঙ্গে বচসা বাঁধল পুলিশের। 


বিজেপির অভিযোগ, ভয় পেয়েছে তৃণমূল। প্রচারে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের দাবি, অস্ত্র নিয়ে হাই সিকিউরিটি জোনে বিজেপি, বদল করেছে রুট। মানা হয়নি কমিশনের নিয়ম।  পুলিশ জানিয়েছে,  নিয়ম অনুযায়ী, ডোর টু ডোর ক্যাম্পেনে প্রধান প্রচারকারীর সঙ্গে চারজনের বেশি থাকা যায় না। এক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয়নি। প্রচারে অনেক লোক ছিল। সেজন্য প্রচার আটকানো হয়। 


দায়িত্ব নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় থেকে ভবানীপুর উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের সমর্থনে মাঠে নামলেন বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢোকার মুখে আটকায় পুলিশ। বিজেপি প্রার্থী দাবি করেন, এভাবে  গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এনিয়ে কমিশনে নালিশ জানানো হবে জানান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। পাল্টা পুলিশ দাবি করেছে, হাই সিকিউরিটি জোনে অস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছিল, পাশাপাশি মানা হয়নি কোভিড বিধি। সেই কারণেই আটকানো হয়।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বুথের ভোটার, সেই মিত্র ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে এদিন প্রচার শুরু করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কাছেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি৷ প্রচারের স্থান নির্বাচনে বিজেপি রাজ্য সভাপতির রাজনৈতিক বার্তা স্পষ্ট। কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকায় গিয়েই তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে এদিন ভবানীপুরে প্রচারে নামেন সুকান্ত মজুমদার।  


উল্লেখ্য, গতকালও  ভবানীপুরে প্রচারে বেরিয়ে ফের পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। তিনি গতকাল  সকালে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যে ওয়ার্ডে, সেই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করছিলেন। কালীঘাট রোড থেকে যে গলি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের দিকে গেছে, সেদিকে বিজেপি প্রার্থী যেতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। স্থানীয় সূত্রে দাবি, পুলিশ জানায়, ওই গলিগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি আছে। তাই এত লোক নিয়ে ওই জায়গায় যাওয়া যাবে না।  এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসাও হয় বিজেপি প্রার্থীর।  


এরপর বিজেপি প্রার্থী হরিশ মুখার্জি রোডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দিকে প্রচারে যেতে গেল ফের পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। সূত্রের খবর, পুলিশ জানায়, ওই এলাকা হাই সিকিওরিটি জোন। তাই সশস্ত্র রক্ষী নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে কারও যাওয়ার অনুমতি নেই।  বিজেপি প্রার্থী দাবি জানান, তাঁকে লিখিতভাবে আপত্তির কথা জানাতে হবে।  তখন পুলিশের তরফে বিকল্প প্রস্তাবও দেওয়া হয়।  প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ছিলেন সশস্ত্র কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষী।  কিছুক্ষণ বচসার পর প্রিয়ঙ্কা একটি গাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়ের বাড়ি পেরিয়ে গিয়ে কিছুটা দূরে নামেন। তারপর আবার তিনি প্রচার শুরু করেন।   


এদিকে, এদিনই বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের হয়ে প্রচার শুরু করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। সকালে প্রথমে যান ভবানীপুর গুরদোয়ারায়। এরপর রয় স্ট্রিটে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী। লর্ড সিন্হা রোডে করবেন পথসভা।