পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: বাঁশদ্রোণীতে মায়ের হাতে আক্রান্ত হলেন যুবক। গতকাল রাত দেড়টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মা ও ছেলের মধ্যে বচসা চলছিল। রাগের বশে কাটারি দিয়ে ছেলের মাথায় কোপ মারেন মা। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ৩০ বছরের সুরজিৎ দাস। মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কী কারণে এই ঘটনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, স্বামীকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ উঠল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে। মৃতের নাম রাম মুসোহার। পেশায় রঙের মিস্ত্রি। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, গতকাল রাতে রামের স্ত্রী পঞ্চমী ও পিসতুতো দাদা মনোজ রাম রাস্তায় দাঁড়িয়ে বারবার হাত দেখিয়ে গাড়ি থামানোর চেষ্টা করছিলেন।
আরও পড়ুন, কলকাতায় ফের সিমবক্স প্রতারণার কারবার, গ্রেফতার ১
প্রতিবেশীদের সন্দেহ হওয়ায় দু’ জনের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সিঁড়ির নিচে পড়ে আছে ৪০ বছরের রাম মুসোহারের রক্তাক্ত দেহ। স্থানীয়রাই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় খবর দেয়। এরপর মৃতের ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রী ও পিসতুতো দাদাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আবার রানাঘাটে যুবকের খোঁজ না পেয়ে তাঁর আত্মীয়কে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল । আক্রান্তের দাবি, রবিবার রাত ১২টা নাগাদ মনসা পুজোর অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে, রাস্তায় তাঁর দাদার শ্যালকের খোঁজ করেন এক ব্যক্তি। তিনি সঙ্গে না থাকায়, ফোন করে তাঁকে ডেকে আনার জন্য চাপ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, গৃহবধূর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি, অস্ত্র পাচারের অভিযোগে মহিলাকে গ্রেফতার
অভিযোগ, তাতে রাজি না হওয়ায় আচমকাই ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হন ওই ব্যক্তি। গুরুতর জখম যুবককে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রানাঘাট থানা ও এসডিপিও-র কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্তের পরিবার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরনো বিবাদের জেরে এই হামলা। অভিযুক্ত পলাতক।