কলকাতা : আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। তার আগে শহরজুড়ে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তত্পর পুলিশ। ২ দিন আগেই গোর্কি সদন এলাকায় হাওড়ার ব্যবসায়ীর উপর গুলি চলে। সেই প্রেক্ষিতে আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে রাতের শহরে গাড়ি চলাচল নিয়ে। মঙ্গলবার বৃষ্টির মধ্যেই রাতভর এলগিন রোড, ধর্মতলা, গিরিশ পার্ক, শ্যামবাজার, মৌলালি এলাকায় চলল নাকা চেকিং। গাড়ি থামিয়ে পরীক্ষা করা হয় নথি। পাশাপাশি চলে তল্লাশি। কোনও অস্ত্র বা বেআইনি জিনিস গাড়িতে করে পাচার হচ্ছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। দক্ষিণ কলকাতায় নাকা চেকিংয়ের নেতৃত্বে ছিলেন ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়া নিজে। 



আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন ও সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে ভোট। এর জন্য রাজ্যে আসছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, ওই ১৫ কোম্পানির মধ্যে সিআরপিএফের ৭ কোম্পানি, বিএসএফের ৪ কোম্পানি, এসএসবি-র ২ কোম্পানি এবং সিআইএসএফ ও আইটিবিপি-র ১ কোম্পানি করে বাহিনী আসছে রাজ্যে।  

নামে উপনির্বাচন। কিন্তু, উত্তাপ বিধানসভা নির্বাচনের থেকে এটুকু কম নয়। কারণ কেন্দ্রের নাম - ভবানীপুর। আর তৃণমূল প্রার্থীর নাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বিজেপি ময়দানে নামিয়েছে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে। আর সিপিএমের বাজি, তরুণ আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস। দলীয় প্রার্থীর জয়ের দাবি করতে গিয়ে, বিজেপি টানছে, বিধানসভা ভোটের ওয়ার্ডভিত্তিক পরিসংখ্যানকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জয়ের মার্জিন ছিল ২৮ হাজার ৭১৯। কিন্তু, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২টিতে লিড পেয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে, এই আটটা ওয়ার্ডের মধ্যে ছ’টাতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। এই হাইভোল্টেজ উপ নির্বাচন ঘিরে চড়ছে রাজনৈতিক বাগযুদ্ধ। যে কেন্দ্রে স্বয়ং প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী, তার জন্য বেশি সতর্ক পুলিশ। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চালানো হচ্ছে নাকা চেকিং। কড়া নজর রাখা হচ্ছে যাতে, কোনও অস্ত্র বা বেআইনি জিনিস গাড়িতে করে শহরে না ঢোকে