কলকাতা: সদর দরজায় পুলিশের একের পর এক লাথি। দরজায় ধাক্কা। ঠিক যেমন দেখা যায় অ্যাকশন ফিল্মে। তারপর ধাঁইধাঁই কষিয়ে লাথি।  ছিটকে গেল সদর দরজার পাল্লা! নাহ্ । কোনও ছবির দৃশ্য নয়, শুক্রবার দুপুরে এমনই রুদ্ধশ্বাস ঘটনার সাক্ষী থাকলেন উত্তর কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের বাসিন্দারা। জানলায় বসে কথা বললেন বিজেপি নেতা। কিন্তু পুলিশকে জানিয়ে দিলেন তিনি ঘর থেকে বের হবেন না। পারলে দরজা ভেঙে তাঁকে নিয়ে যাক পুলিশ। হলও তেমন। ফিল্মি কায়দায় দরজা ভেঙে বিজেপি নেতাকে থানায় নিয়ে গেল পুলিশ। আর তিনি চিত্কার করতে লাগলেন, কড়া ভাষায় পুলিশকে করলেন ব্যঙ্গ। অধুনা বিজেপি নেতা তৃণমূলকে বিঁধে বলতে থাকেন, 'এখন লজ্জা হয়, এক সময় এই দলটা করেছি!'


শুক্রবার দুপুর ৩ টে ১০। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের কাছে ক্লাব ভাঙচুর ঘিরে তুলকালাম। নজিরবিহীন ছবির সাক্ষী রইল এবিপি আনন্দ।  মুচিপাড়া এলাকায় দরজা ভেঙে গ্রেফতার করা হল বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে। বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘিরে ফেলে গোটা এলাকা। 

জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে একটি ক্লাব ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা স্থানীয় এক ক্লাব ভাঙচুর করেছে। স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকদের দাবি, এই ক্লাবের সঙ্গে যুক্তরা ইভটিজিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় এক মহিলার উদ্দেশে ক্লাব থেকে 'সজল ঘোষের অনুগামী' ছেলেরা কটূক্তি করে। তারপরই অশান্তি শুরু হয়। যদিও,  ক্লাব ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। 

অন্যদিকে তৃণমূল সদস্যদের দাবি, একটি দোকান ভাঙচুরেও অভিযুক্ত ক্লাব সদস্যেরা । বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তৃণমূল। তারপরই পুলিশ ঘোষবাড়িতে তাঁকে গ্রেফতার করতে আসে। যদিও দরজা খোলেননি তিনি। অবশেষে, বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে পুলিশ। বাড়ির দরজা ভেঙে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। 
গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি দাবি করেন, ‘বিনা অপরাধে গ্রেফতার করা হল আমাকে’। 

জানা গেছে, সজল ঘোষের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মারধর ও চুরির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। সজল ঘোষের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু ।