বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা আদৌ সন্তোষজনক নয় বরং যথেষ্ট দুশ্চিন্তার। মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। 


ওপার বাংলায় অশান্তি নিয়ে এপার বাংলায় শুরু রাজনৈতিক তরজা। প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন? বাংলায় হিন্দু আবেগ উস্কে দিয়ে ভোট করার চেষ্টা? সমালোচনা তৃণমূলের মুখপত্রে। বাংলার সরকার কী করছে? পাল্টা প্রশ্ন বিজেপির। এখনই আলোচনা শুরু হোক দু’দেশের, মত বাম-কংগ্রেসের।


দিলীপ ঘোষের কথায়, 'বাংলা সরকার চুপচাপ বসে রয়েছে। ওরা ওদের জয় বাংলা স্লোগান নিয়েছে, বাংলাদেশের পাঠানো ইলিশ মাছ খাবে, কিন্তু সেখানকার বাঙালিদের হয়ে কথা বলবে না।






পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, পিএম কিছু বলেছন না। উৎসবের আবহে ওপার বাংলায় অশান্তি নিয়ে যখন উদ্বেগ-আর উত্‍কণ্ঠা, তখন এ পার বাংলায় তা নিয়েও রাজনীতি! মঙ্গলবার তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করা হয়। 


সেখানে লেখা হয়, আমরা বিস্মিত, ভোটের আগে ভারতের যে প্রধানমন্ত্রী ভোট টানার অঙ্কে বাংলাদেশে পুজো দিতে গিয়ে প্রচার সারলেন, তিনি প্রথম থেকে নিষ্ক্রিয় কেন? নাকি বাংলাদেশে হিন্দুনিগ্রহ দেখাতে পারলে সেই সুড়সুড়ি দিয়ে এই বাংলায় হিন্দু আবেগ উস্কে দিয়ে ভোট করার চেষ্টা? যা নিয়ে পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি বিজেপি।


এ মাসের শেষেই রাজ্যে চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন রয়েছে। যার মধ্যে কোচবিহারের দিনহাটা ও নদিয়ার শান্তিপুর বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। 


প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথায়, শেখ হাসিনার ওপর ১০০ ভাগ আস্থা আছে। সব সম্প্রদায়ের মানুষকে চলেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করব আলোচনা শুরু করতে। মুখ্যমন্ত্রীকেও বলব প্রোটোকল মেনে আলোচনা চালু করতে।


প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য এই ইস্যুতে বলছেন, 'মমতা কেন চুপ? বিজেপি বুঝিয়ে দিচ্ছে রাজনৈতিক ফায়দা নেবে। বামেদের উচিত আরও বেশি শক্তি দিয়ে ঝাপাতে হবে।'


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের দাবি, 'যখন প্রয়োজন মনে হবে, তখন প্রোটোকল মেনে বাংলাদেশের কাউন্টারপার্টের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে' সব মিলিয়ে ওপারের অশান্তি ঘিরে এপারে রাজনীতি!