কলকাতা: মা লক্ষ্মীর আরাধনার দিনেও বৃষ্টির ভ্রুকুটি। সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। বেশ কয়েকটি জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদা, দুই দিনাজপুরে কয়েকঘণ্টার মধ্যেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।


বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাংলা ও উত্তর ওড়িশা উপকূলে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ বর্তমানে বিহারের ওপর অবস্থান করছে। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার উন্নতি হবে আজকের পর থেকেই। যদিও, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি চলবে কাল পর্যন্ত।


জানা গিয়েছে কালিম্পঙে মেঘ ফেটে বৃষ্টি হচ্ছে। তিস্তার জলে ডুবে গিয়েছে পাহাড়ি রাস্তাও। সেবকের কাছে আটকে দেওয়া হচ্ছে গাড়ি। মাটিগাড়ায় বালাসন সেতুতে ফাটল। কালিম্পং ও গ্যাংটকগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের তিনমাইল ও ২৯ মাইলে ধস নামে। ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক বাড়ি।


মংপুতে রাস্তায় গাছ উপড়ে শিলিগুড়ি-কালিম্পং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।  জলমগ্ন হয়ে পড়েছে শ্বেতিপুল এলাকা। মহানদীর কাছে কার্শিয়ং থেকে সুকনাগামী ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কেও ধস নেমেছে। তবে খোলা রয়েছে রোহিণী রোড, পাঙ্খাবাড়ি রোড। মানেভঞ্জন থেকে রিমবিক রোডগামী রাস্তায় ভেঙে পড়েছে সেতু। মাটিগাড়ায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বালাসন নদীর ওপর সেতুতে ধস নামায় বন্ধ যান চলাচল। 


পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টি। জলপাইগুড়ি জেলায় তিস্তার সংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। চলছে মাইকে প্রচার। তিস্তা ব্যারাজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হচ্ছে। ফলে জলপাইগুড়িতে তিস্তা ও জলঢাকা নদীতে জলস্তর বাড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা। তিস্তায় জল বাড়ায়, জলপাইগুড়ি পুরসভার বিবেকাননন্দ পল্লি ও সারদা পল্লি এলাকা জলমগ্ন।


রাতে এলাকা পরিদর্শনে যান জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। জলপাইগুড়ি পুর-এলাকা ছাড়াও জলমগ্ন ক্রান্তি, মৌয়ামারি, চাঁপাডাঙা, নন্দনপুর, বোয়ালমারি ও পাতকাটা এলাকা। এই সমস্ত এলাকার বাসিন্দাদেরও নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।