সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: বাজারে মুরগির মাংসের দামে আগুন। এক ধাক্কায় ২০০ টাকা পেরোল দাম। গত সপ্তাহে খুচরো বাজারে মুরগির মাংসের কেজি প্রতি দাম ছিল ১৮০ টাকা। আজ মুরগির মাংস গড়িয়াহাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজিতে। সরকারি ফেয়ার প্রাইস শপেও দরও কেজি প্রতি ২০৫ টাকা। করোনা পরিস্থিতিতে যখন হাই প্রোটিন ডায়েট খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা, সে সময় মুরগির মাংসের এই দামবৃদ্ধিতে অনেকেরই পকেটে টান।
ক্রেতারা বলছেন, সব জিনিসের দাম বাড়ছে। দারুণ সমস্যার মুখে পড়চে হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, এমনিতেই বিক্রি কম, তারওপর দাম বৃদ্ধিতে সমস্যা বাড়বে।
শুধু মুরগীর মাংসই নয়, অন্যান্যা সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধিও মধ্যবিত্তর হেঁশেলে ফের বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে। দাম বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় পৌঁছেছে,যে সরষের তেল কিনতে গিয়ে চোখে সরষের ফুল দেখছে সাধারণ মানুষ।করোনার প্রথম ধাক্কা বদলে দিয়েছে বহু মানুষের জীবন। কেউ হারিয়েছেন চাকরি, কারও কোপ পড়েছে রোজগারে। তার ওপর আছড়ে পড়ছে দ্বিতীয় ঢেউ। এমন অবস্থায় দু’বেলা দু’মুঠো ভাত আর সরষের তেল দিয়ে মাখা আলুসেদ্ধও যেন কষ্টকল্পনা। কারণ, গত এক মাসে হুহু করে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। বিশেষ করে আকাশছোঁয়া দাম সরষের তেলের। যেটা নাহলে হেঁশেল প্রায় অচল।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১ লিটার সরষের তেলের দাম দিন ২০ আগেও ছিল ১২০ থেকে ১৩০টাকা। এখন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। কোনও কোনও ব্র্যান্ডের দাম তো ২০০ টাকা। এই পরিস্থিতিতে কী খাবেন আর কী মাখবেন, তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ মানুষের।
কিন্তু সরষের তেলের দাম এতটা বাড়ল কেন? শহরের বিভিন্ন পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচামালের জোগানের অভাবই এর মূল কারণ। সরষের তেল ছাড়া সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, রাইস ব্র্যানের মতো ভোজ্য তেলের দামও লাফিয়ে বাড়ছে। ভাইরাসের সঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে অন্যান্য জিনিসের দাম।
এই পরিস্থিতিতে কোথায় যাবে সাধারণ মানুষ? উদ্বেগ বাড়িয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভোজ্য তেলের দাম কমার কোনও লক্ষণ অদূর ভবিষ্যতে নেই। এই পরিস্থিতিতে মুরগীর মাংসের দামও বাড়ছে। ফলে সমস্যায় সাধারণ মানুষ।