সত্যজিত্‍ বৈদ্য, কলকাতা:  অবিলম্বে কলেজ, ইউনিভার্সিটি খোলার দাবি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের পাশেই এই দাবিতে মাটিতে বসে  ক্লাস করলেন ছাত্রছাত্রীরা। যাদবপুর ইউনির্ভার্সিটির ৪ নম্বর গেট, সামনে ব্যস্ত রাস্তা।অবিরাম ছুটে চলেছে যানবাহন।ধুলো-ধোঁয়ার মধ্যেই, গেটের একপাশে চলছে ক্লাস।ক্লাস নিচ্ছেন অধ্যাপক।মাটিতে বসেই পড়াশোনা করছেন পড়ুয়ারা।


করোনা-আবহে ২০২০-র ১৪ই মার্চ বন্ধ হয়ে যায় স্কুলে সশরীরে পঠনপাঠন। তারপর থেকে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধই রয়েছে স্কুল, কলেজ।  এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবি জানিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র সংগঠন। আর নিজেদের দাবি জোরালভাবে পেশ করতেই এই অভিনব পন্থা।মঙ্গলবার, কলেজের গেটের সামনেই ক্লাস করেন পড়ুয়ারা।


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এসএফআইয়ের এক সদস্য বলেছেন, সব হচ্ছে, ভোট হচ্ছে। শুধু কলেজ, ইউনিভার্সিটি খুলছে না। নিম্নবিত্তরা অফলাইনে পড়তে পারে না। ফলে ওই শ্রেণীর পড়ুয়াদের ক্ষতি হচ্ছে।


ইতিমধ্যেই অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আটর্সের সামনে, ছাতিম গাছের নীচে, পড়ুয়াদের জন্য ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর, সেন্ট জেভিয়ার্সের পড়ুয়াদের একটি সংগঠন। সোমবার বিকেলে, সেখানে ক্লাস হয়। অবিলম্বে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবি জানিয়েছে তারাও। বিপ্লবী শিক্ষার্থী ঐক্য নামে ওই সংগঠনের গাছের তলায় এই অভিনব ক্লাসের নাম দেওয়া হয়েছে, বৃক্ষ বিদ্যালয়।   অবিলম্বে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবি জানানো এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও, পড়ুয়াদের থেকে বেতন কেন নেওয়া হচ্ছে, এই সব প্রশ্ন তুলে সংগঠনের তরফে পোস্টার দেওয়া হয় গাছতলার ক্লাসঘরের চারপাশে।  আগামীদিনে জেলায় জেলায় এইভাবে বৃক্ষ বিদ্যালয় খোলার পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনের।  যদিও, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, পুজোর পর অল্টারনেট ডে-তে স্কুল খোলা হতে পারে।


কয়েকদিন আগে কলকাতার কলেজ স্ট্রিটেও অবিলম্বে ক্লাস শুরুর দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেও প্রশ্ন তোলা হয় যে, সমস্ত কিছুই যখন খুলছে, তখন কেন বন্ধ থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পঠনপাঠন।