প্রকাশ সিন্হা, কলকাতা: কয়লা পাচারকাণ্ডে কলকাতার আরও ১২ জন ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করেছে ইডি। 


সূত্রের খবর, এদের মাধ্যমে কয়লা পাচারের টাকা পৌঁছত যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রর অ্যাকাউন্টে। এরপর সেই টাকা প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছত বলে ইডি-র দাবি। 


কয়লা পাচার তদন্তে ইতিমধ্যেই কলকাতার ৮ জন ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। শুক্রবার থেকে পরপর তিনদিন ওই ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়ে মিলেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ইডি সূত্রে দাবি।


কয়লা কাণ্ডের তদন্তে শুক্রবার ১৪টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল ইডি ও সিবিআই। শনিবারও ইডির গোয়েন্দারা ১০টি জায়গায় হানা দেন। 


ক্যামাক স্ট্রিটের ‘শান্তিনিকেতন’ বিল্ডিংয়ে এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। ‘শান্তিনিকেতন’ নামের ওই বহুতলেই রাজ্যের একাধিক প্রভাবশালীর অফিস রয়েছে। 


এর পাশাপাশি একবালপুরে ডায়মন্ডহারবার রোডেও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। কয়লাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা এবং আরেক অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র এখনও ফেরার। 


আরও পড়ুন:


Coalscam CBI-ED Raid: কয়লাকাণ্ডে কলকাতা-সহ ১৪ জায়গায় একযোগে হানা সিবিআই-ইডির


এদিকে, কয়লাকাণ্ডে আজ সুপ্রিম কোর্টে লালা-মামলার শুনানি। কয়লাকাণ্ডে অনুপ মাঝি ওরফে লালাই মূল ষড়যন্ত্রী বলে সিবিআইয়ের দাবি। 


তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন লালা। সেই মামলারই আজ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।


২০২০-র ২৭ নভেম্বর কয়লাকাণ্ডে প্রথম এফআইআর করে সিবিআই। তাতে ইসিএল-এর একাধিক অফিসারের পাশাপাশি নাম ছিল অনুপ মাঝি ওরফে লালার। 


গত নভেম্বর থেকে এখনও অবধি লালাকে ৩টি নোটিস দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু, কোনওবারই সিবিআইয়ের মুখোমুখি হননি লালা। পরবর্তীতে অনুপ মাঝির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। কিন্তু, এখনও অবধি লালার হদিশ পাওয়া যায়নি।