পুরুষোত্তম পণ্ডিত ও পৃথা দাশগুপ্ত, কলকাতা:  রাজ্য সরকারের ছাড়পত্র মেলা সত্ত্বেও আজ খুলল না কলকাতার কোনও সিনেমা হল। মালিকদের দাবি, হাতে নেই ভালো ছবি, স্বল্প সময়ে হল স্যানিটাইজেশনও সম্ভব হয়নি। তবে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে হল খোলা সম্ভব বলে আশাবাদী মালিকরা। 


কার্যত লকডাউনের মেয়াদ বাড়লেও ছাড় মিলেছে সিনেমা হলে। ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে করোনা বিধি মেনে দেখানো যাবে ছবি। দীর্ঘদিন পর হলে গিয়ে সিনেমা দেখা, সঙ্গে, পপকর্ন, কোল্ড ড্রিংকস-- করোনা আবহে দীর্ঘদিন পর উইকএন্ডটা অন্যরকম হবে, এমন আশায় ছিলেন সিনেপ্রেমীরা।


সরকারি ছাড়পত্র মিললেও শেষ পর্যন্ত শনিবার খুলল না কলকাতার কোনও সিনেমা হল। হল মালিকদের দাবি, স্যানিটাইজেশন সমস্যা, কর্মীরা আসতে পারেননি, নতুন ছবি মুক্তি পায়নি বলে দ্রুত হল খোলা যায়নি। তবে, দ্রুত হল খোলার ব্যাপারে আশাবাদী মালিকরা।  


আইনক্স রিজিওনাল হেড (ইস্ট) অমিতাভ গুহঠাকুরতা বললেন, ই-টিকিটে জোর দেওয়া হচ্ছে, খাবারের মেনু থেকে বিলিং সবটাই হবে মোবাইলে। সংস্পর্শ হয় যেখানে এসক্যালেটার, চেয়ারের হাতল স্যানিটাইজেশন প্রতি আধ ঘণ্টায়। প্রতি শো শেষে পুরো হল স্যানিটাইজেশন।


দীর্ঘদিন পর হল খোলার খবরে খুশি কলাকুশলীরা। অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় বললেন, ওটিটিতে আনন্দ পাওয়া যায় না। বড় স্ক্রিন খোলা সুখবর, টিকিট কেটে সিনেমা দেখুন। অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা সরকার বললেন, খুব ভালো খবর। তবে দর্শকদের সচেতন হতে হবে।


সরকারি সিদ্ধান্তে আশাবাদী ছবির নির্মাতা-পরিচালকরাও। প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরী বললেন, করোনা আবহে দাঁড়িয়ে ছবি মুক্তির কথা ভাবছি না। পুজো রিলিজের জন্য ধরে রাখছি। পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক বললেন, আমার ছবি হৃদপিণ্ড ২০২০ শেষ হয়েছিল। এবার বড় পর্দায় আনার ভাবনা।


করোনা আবহে খরচ বাড়লেও দর্শকদের কথা মাথায় রেখে এখনই বাড়ছে না টিকিটের দাম। অশোকা সিনেমা হলের মালিক প্রবীর রায় বললেন, দর্শকরা হলে আসুক চাইছি। তাঁদের হলমুখী করাটাই উদ্দেশ্য। সে কারণেই টিকিটের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই।


বড় পর্দায় সিনেমা দেখার আনন্দ আবার আগের মতোই ফিরবে, আশায় সিনেমহল।