কলকাতা: কোভিড ক্ষতিপূরণ মামলায় রাজ্যের কড়া সমালোচনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। 


শুনানিতে আদালতের প্রশ্ন, ‘রাজ্য কি স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে ফেলতে চাইছে?’ এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘এই অতিমারীর সময় কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করব না।’


এদিন শুনানি চলাকালীন রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ‘কোভিডে মৃতদের পরিবার ও আক্রান্তদের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।’ 


এর প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘দিয়ে দেব এই কথার কোনও যুক্তি নেই।’ রাজ্যকে হাইকোর্টের প্রশ্ন, ‘এখনও কেন দেননি বলুন।’


‘কতজন ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছেন, কবে করেছেন? কতজন ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, কতজন পাননি, আর কেন পাননি?’ এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আগামী ১২ অগাস্টের মধ্যে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। 


তার আগে, গত জুন মাসে কোভিডে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টও। এর পাশাপাশি কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে তা খতিয়ে দেখার জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় তিন বিচারপতির বেঞ্চ।


২০০৫-এর বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের সংস্থান অনুযায়ী, করোনায় মৃতদের পরিবারগুলি চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের হয়েছিল। সেইসঙ্গে ডেথ সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রে অভিন্ন নীতির আর্জি জানিয়েও একটি পিটিশন দায়ের হয়েছিল।


এর ভিত্তিতে শীর্ষ আদালতে মোদি সরকারি জানিয়েছিল, করোনায় সব মৃতের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ এটা শুধুমাত্র জাতীয় বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। 


কেন্দ্র আরও বলেছিল, ভাইরাসে ৩.৮৫ লক্ষর বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই মারা গেছেন। এবং লকডাউনের কারণে এমনিতেই রাজ্যগুলি তীব্র আর্থিক সংকটের মুখে রয়েছে।


তার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেয়, করোনায় মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। শীর্ষ আদালতের তরফে আরও বলা হয়, করোনায় যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের সার্টিফিকেটে তারিখ এবং মৃত্যুর কারণ উল্লেখ থাকতে হবে।