কলকাতা: গরুপাচারকাণ্ডে এবার অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর সঙ্গীকে তলব করল সিবিআই। কাল নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে।
সিবিআইয়ের দাবি, গরুপাচারকাণ্ডে সাক্ষীদের বয়ানে অনুব্রত মণ্ডলের নাম উঠে আসে। সেই কারণেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে।
২৯ এপ্রিল বীরভূমে ভোট, তাই তলব প্রতিক্রিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অনুব্রতকে সিবিআই দফতরে যেতে নিষেধ করেছি, জানালেন তৃণমূলনেত্রী।
সম্প্রতি, আয়কর নোটিস পেয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তারই মধ্যে অতীতের নির্বাচনের মতো এবারও ভোটের দিন অনুব্রতকে নির্বাচন কমিশন নজরবন্দি করবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে।
এই প্রেক্ষাপটেই, গত পরশু, অর্থাৎ শনিবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামের কর্মিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রতিবার ভোট এলেই অনুব্রতকে নজরবন্দি করা হয়। এবার করলে কোর্টে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূলনেত্রী।
বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির পাশে দাঁড়িয়ে তা নিয়েও নির্বাচন কমিশনের কড়া সমালোচনা করেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, কেষ্টর উপর ওদের অনেক রাগ। প্রতি বার নির্বাচনের আগে কেষ্টকে নজরবন্দি করে রেখে দিচ্ছে। আমি বলছি, কেষ্ট, এ বার যদি এরকম কিছু করে তো তুমি কোর্টে যাবে, প্রোটেকশন নেবে। এ ভাবে নজরবন্দি করে রাখা যায় না।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে অনুব্রতকে নজরবন্দি করেছিল কমিশন। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের দিন অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করার পাশাপাশি তাঁর মোবাইল ফোনও জমা নিয়ে নেয় কমিশন। যদিও অনুব্রত ছিলেন নিজের মেজাজেই।
অনুব্রতর পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি এদিন পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন তৃণমূল নেত্রী। বলেছিলেন, ২ দিন পর কমিশন চলে যাবে, যে পুলিশ অফিসারেরা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছেন না, নজর রাখছি। আমি দুর্বল মানসিকতার লোক নই, পুলিশ-প্রশাসনের অফিসাররা রাজধর্ম পালন করুন।
তৃণমূলনেত্রী আরও বলেন, পক্ষপাতিত্ব করে ওদের ১০টা সিট পাইয়ে দিতে পারেন। বিজেপি ৭০টা পেতে পারে। কংগ্রেস-সিপিএম ২০-২৪। আমরা ২০০ পেরোচ্ছি।