কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: তৃণমূলের মুখপত্রে ধারাবাহিক প্রবন্ধ। কলমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা। একজন রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে নজির গড়েছেন সমগ্র বিশ্বের সম্মুখে নিজের যোগ্যতায়। রাজনৈতিক ইতিহাসে বাঙালি নারী হিসেবে, নিজেকেই অন্যতম সেরা প্রমাণিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনিল বিশ্বাসের কন্যার এমনই লেখনী ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে সিপিএমের অন্দরেও। এই প্রসঙ্গে মুখ খুলে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে দল। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘যা করেছেন মেনে নেওয়া যাবে না, যা করেছেন তা কোনওভাবেই ছোট করে দেখা হবে না, আত্মপক্ষ সমর্থনে সুযোগ দেব।’
সূত্রের খবর, তৃণমূলের মুখপত্রে অজন্তা বিশ্বাসের লেখা প্রবন্ধ নিয়ে, আলোচনা হয়েছে সিপিএমের অধ্যাপকদের সংগঠনে। এই প্রসঙ্গে অনিল-কন্যার সঙ্গে অধ্যাপকদের কথা হলেও, তাঁর যুক্তি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে না সিপিএম। তার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে শো কজের চিঠি।
সূত্রের খবর, সোমবারের মধ্যে অজন্তা বিশ্বাসকে শোকজ-চিঠি ধরানো হবে। সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘মূল্যায়ন কমিটি জেলা কমিটি তারপর রাজ্য কমিটি। আমাদের কাছে আসুক দেখব।’
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'সিপিএমের মনে কেন সংকীর্ণতা, হুবহু ছাপা হয়েছে, এই নিয়ে তথ্য iন করেছে সিপিএমে, এবার মহাশূন্য হয়ে যাবে।'
একসময় সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে আসা সুজিত বসুও অজন্তা প্রসঙ্গে পুরনো দলকে একহাত নিয়েছেন। মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা সুজিত বসু বলেন, 'অজন্তা বিশ্বাস ঠিক লিখেছেন। এদের চিঠি পাঠানো শোকজের অভ্যাস আছে। চিঠির উত্তর দেব, না কাজ করব। স্বাধীনভাবে কাজ করা যায় না বলে বেরিয়ে এসেছি।'
যাঁকে নিয়ে এত বিতর্ক, সেই অজন্তা বিশ্বাস নিজের অবস্থানে অনড়। অনিল বিশ্বাসের কন্যা বলেন, 'বঙ্গের রাজনীতি নিয়ে নারীদের ভূমিকা নিয়ে লিখতে গেলে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ আসাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। তিনি বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। মহিলা নেত্রী হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন পুরুষপ্রধান রাজনীতির অসম লড়াইয়ে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।'
একসময় যিনি বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ম করে আক্রমণ করতেন, সেই অনিল বিশ্বাসের মেয়ের লেখনী ঘিরে, সিপিএমের অন্দরের পাশাপাশি রাজ্য রাজনীতিও তোলপাড়।