কলকাতা: বিমানবন্দরের সামনে থেকে উদ্ধার সাইবার অপরাধের সরঞ্জাম। রাজ্য পুলিশের এসটিএফের জালে ৩ অভিযুক্ত। পুলিশের দাবি, সিমবক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল ভয়েস কলকে সিএমএস কলে পরিণত করে এরা অপরাধের কারবার চালাত। মধ্য কলকাতার তালতলা থানা এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে চলত প্রতারণার ছক। নদিয়ার বেথুয়াডহরিতেও প্রতারণা চক্রের জাল ছড়ানো হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩টি সিমবক্স। চক্রের জাল আর কোথায় রয়েছে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত ১২ অগাস্ট সাইবার ক্রাইমের আঁতুরঘরের খোঁজ পাওয়া যায় বাঁকুড়া শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। জানা গিয়েছে, অন্ধকার জগৎ থেকে প্রচুর টাকা রোজগার করতে অভিষেক ও অভিজিৎ নামে দুই ভাই মাটির ঘরে বসেই সাইবার ক্রাইমের কাজ শুরু করে। তাদের কাছ থেকে ব্যাঙ্কের একাধিক পাসবই, ডেবিট কার্ডসহ ৯ হাজারেরও বেশি অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, বাঁকুড়া সদর থানার একেবারেই সাদামাটা মাটির বাড়িতে থাকত দুই ভাই অভিষেক মন্ডল এবং অভিজিৎ মন্ডল। স্থানীয় একটি ওষুধের দোকানে কাজ করত এক ভাই অভিজিৎ। আর অন্য ভাই অভিষেক ইলেক্ট্রিকের ওয়্যারিংয়ের কাজ করত। দুই ভাই খুব বেশি শিক্ষিত বা মেধাবি না হলেও তারা স্মার্টফোন ব্যবহার এবং ইন্টারনেটের ব্যবহারে তুখোর ছিল।
লকডাউনে বাড়িতে বসে সাইবার ক্রাইমের কাজে তারা আরও পোক্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ধৃত দুই ভাইয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী উদ্ধারের পাশাপাশি প্রায় ৯ হাজারেরও বেশি চালু সিম কার্ড মেলে। এর সঙ্গে একাধিক ব্যাঙ্কের পাসবই, ডেবিট কার্ডসহ নানা জিনিসও পাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মূলত ই-ওয়ালেট বানিয়ে দেশের তাবড় সমস্ত সাইবার ফ্রডস্টারদের বিক্রি করত তারা।