রাণা দাস, কাটোয়া: হাসপাতালের বর্জ্য পদার্থে এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে। বার বার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও ফল না পেয়ে রাতে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপারের কার্যালয়ের সামনে বর্জ্য পদার্থ ফেলে প্রতিবাদে নামল স্থানীয় বাসিন্দারা। 


রাতেই খবর পেয়ে কাটোয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। হাসপাতালের খোলা জায়গায় বর্জ্য পদার্থ পড়ে আছে স্বীকার করে সুপারের সাফাই, ঠিকাদার সংস্থাকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।


বেশ কয়েক দিন ধরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল কালেকশন সেন্টারে বর্জ্য পদার্থ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকার কারণে এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।  হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দারা দূষণের ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানালেও, তাতে কোনও ফল হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। 


অভিযোগ, হাসপাতালের নির্দিষ্ট করা জায়গার বাইরে পড়ে থাকা বর্জ্যগুলো কুকুরে টেনে গোটা এলাকায় ছড়িয়ে দূষিত করছে। বর্জ্যগুলির মধ্যে অস্ত্রোপচারের পর মানব শরীরের বাদ যাওয়া অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থেকে শুরু করে রক্ত, সিরিঞ্জ সহ ব্যবহৃত গজ-তুলো-ব্যান্ডেজ রয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীদের।


সাধারণত, প্যাকেট করা অবস্থায় বর্জ্যগুলি বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্টেজ কালেকশন সেন্টারে জমা করা হয়। কিন্তু, কাটোয়া হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ এজেন্সির কর্মীরা সেগুলিকে পরিষ্কারের ক্ষেত্রে গাফিলতি করছে বলে হাসপাতাল সুপার ধীরজ কুমার রায় অভিযোগ করেন। হাসপাতাল সুপার বলেন, বারবার বলেও কোনও লাভ হচ্ছে না। এর স্থায়ী সমাধান না করলে হাসপাতালেও দূষণ ছড়াবে। 


স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি,হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে দিনের পর দিন বর্জ্য পড়ে থাকছে। কুকুরে নিয়ে টানছে। হাসপাতাল সুপারের নজরে আনার জন্যই গেটের সামনে ফেলা হয়েছে। এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে আগামী দিনে সুপারের চেম্বারে গিয়ে বর্জ্যগুলো ফেলা হবে।


এর আগে, কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডের বাইরেও পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক। করোনাকালে এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রোগীর পরিজনরা। সাফাইকর্মীদের গাফিলতি, দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে তড়িঘড়ি সরানো হয় ব্যবহৃত পিপিই।