কলকাতা: বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণ ঘিরে এদিন বেনজির কাণ্ডঘটে। এদিন বিধানসভার ওয়েলে নেমে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিক্ষোভ দেখায়। পুরভোটে সন্ত্রাস নিয়ে বিজেপির বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে ভাষণ শুরু করতে পারেননি রাজ্যপাল। রাজ্যপালকে ভাষণ শুরু করতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতজোড় করে রাজ্যপালকে ভাষণ শুরু করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইনই পড়তে পেরেছিলেন রাজ্যপাল। তবে গোটা ঘটনায় যে তিনি ভীষণ ক্ষুব্ধ তা বুঝিয়ে দিলেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, ''এরকম যেন আর না ঘটে। গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয়। এরকম ঘটনা না হওয়াই উচিত ছিল, এরকম হবে আমি ভাবিনি। এটা ছোট ব্যাপার নয়, বড় ব্যাপার।''


রাজ্যপালের ভাষণ ঘিরে এক ঘণ্টা ধরে বিধানসভায় নাটকীয় পরিস্থিতি। আলাদা করে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। এদিন বিধানসভার ওয়েলে নেমে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিক্ষোভ দেখায়। পুরভোটে সন্ত্রাস নিয়ে বিজেপির বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে ভাষণ শুরু করতে পারেননি রাজ্যপাল। রাজ্যপালকে ভাষণ শুরু করতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতজোড় করে রাজ্যপালকে ভাষণ শুরু করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যেতে উদ্যত হন রাজ্যপাল। বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ থামাতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী।


বিক্ষোভের মধ্যেই সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা পালনের অনুরোধ করা হয়। ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইন পড়েন রাজ্যপাল। একইসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  “ভাষণ না পড়ে চলে যাচ্ছিলেন রাজ্যপাল, হাতজোড় করে অনুরোধ করেছি। বিজেপি গণতন্ত্র মানে না, আমরা রাষ্ট্রপতিকেও সম্মান জানাই। রাজ্যপাল যাতে ভাষণ না পড়েন, অধিবেশন শুরু নয়, তার চেষ্টা করেছে বিজেপি। ভাষণের শেষ লাইন পড়েছেন রাজ্যপাল, এজন্য ওনাকে ধন্যবাদ।''


সাংবাদিক বৈঠকে পরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ''এক নজিরবিহীন প্রতিবাদ এবার বিধানসভায় হয়েছে। মহামান্য় রাজ্যপালের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু এই যে লিখিত বক্তব্য, তা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসূত। এই বক্তব্যই রাজ্যপাল পড়তে গিয়েছিলেন। আমরা প্রতিবাদ করেছি, এই কারণেই যে পুরভোটে এই তিনমাস ব্যাপী এই রাজ্যে রাজ্য সরকারের পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভোট লুটের বাহার দেখা গিয়েছে।''