আবীর দত্ত, কলকাতা: জোড়াসাঁকোর গুদামে বিধ্বংসী আগুন। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাত ২টো নাগাদ দাউদাউ করে গুদামে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই খবর দেন পুলিশ ও দমকলে। 


দমকলের ৭টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এরপর তাদের প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুনের তীব্রতায় পুরোপুরি ভস্মীভূত গুদামের একাংশ। কারখানায় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছিল না বলে স্বীকার করে নিয়েছেন গুদামের মালিক। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান দমকলের। শহরের বুকে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই কীভাবে এই গুদামে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী মজুত করা হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 


কিছুদিন আগেই সোনারপুরের রাসায়নিকের কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। বহুক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনতে হয় আগুন। তার আগের রাতভর বৃষ্টিতে বানভাসি ছিল শহর। সকালেও অব্যাহত ছিল বৃষ্টির ধারা। তারমধ্যেই ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। অন্যদিকে জানা যায় দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল আগুন। দমকল যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। 


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ বাজ পড়ার শব্দে বাইরে বেরিয়ে তাঁরা দেখতে পান, কারবালা মোড়ে জুতোর আঠা তৈরির কারখানায় দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। আশেপাশের ঘনবসতি থাকায় সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।  প্রথমে ৩টি এবং পরে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন গিয়ে পৌঁছয়। দীর্ঘক্ষণধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলে। 


গত ১১ সেপ্টেম্বর নিমতলা ঘাট স্ট্রিটের পর গার্ডেনরিচের একটি গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগে। এই আগুন নেভাতে ঘটমাস্থলে আসে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। দীর্ঘক্ষণ জ্বলতে থাকে আগুন। টানা দুদিন ধরে চলে এই পরিস্থিতি। ১০ টি গুদাম সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। ১১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শনিবারের আগুন নেভাতে রবিবার সকালেও দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন নামাতে হয়। কীভাবে আগুন লাগল তার কারণ অনুসন্ধানে সোমবার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন দমকল মন্ত্রী। গোডাউনগুলির অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান।


আরও পড়ুন: East Medinipur : দুর্যোগের আশঙ্কা কাটেনি, পাঁশকুড়ায় কংসাবতীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নতুন করে বাড়ছে জল