রঞ্জিত সাউ, নিউটাউন: বছরের শেষ দিন। নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়েছে পর্যটকদের ভিড়। নিক্কো পার্কেও (nicko park) সকাল থেকেই ভিড় বাড়ছে। কিন্তু অন্যদিকে করোনা ও ওমিক্রনও আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে নিকো পার্কে কোভিড মোকাবিলায় কড়া সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। যারা যারা ঘুরতে আসছেন, তাদের জন্য স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও প্রত্যেকের থার্মার চেকিং করা হচ্ছে। 


আজ সকাল থেকে নিকোপার্ক এ ভিড়। কিন্তু যে ভাবে করোনা বাড়ছে সেই কারনে নিকোপার্ক কর্তৃপক্ষ সচেতন। নিকোপার্কে যারা ঘুরতে আসছে দেখা হচ্ছে তাদের মাস্ক আছে কি না। মাস্ক না থাকলে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। মাস্ক পরেই প্রবেশ ভিতরে। এর পাশাপাশি যারা আসছে তাদের স্যানিটাইজার ও থার্মাল চেকিং করা হচ্ছে। বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফ থেকে নিকোপার্ক এর বাইরে মাইকিং চলছে। এর পাশাপাশি স্নিফার ডগ দিয়ে চলছে চেকিং।


আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা। ২০২১কে বিদায় জানিয়ে ২০২২কে স্বাগত জানানোর পালা। বছরের শেষদিনে উপচে পড়া ভিড় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। কোথাও আবার শিকেয় কোভিড বিধি (Covid19 Restrictions)। বর্ষবরণের জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) দিঘার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। বর্ষবরণের উত্‍সবে কোভিড বিধি মানাতে তত্‍পর কলকাতা পুলিশও (Kolkata)। 


সকাল থেকেই ভিড় জমেছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে। পাশাপাশি চলছে পুলিশের নজরদারি। মাস্ক না পরে কাউকে ঘোরাঘুরি করতে দেখলেই পুলিশ কর্মীরা তাঁকে মাস্ক পরতে বলছেন।  কখনও কোভিড বিধি অমান্যকারীদের পুলিশের ধমকও খেতে হচ্ছে।  করোনা পরিস্থিতির কথা বলে সতর্কও করে দিচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা।  মাইকে চলছে সচেতনতা প্রচারও।


বর্ষবরণের জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। বছরের শেষদিনে ভিড় উপচে পড়েছে সৈকতনগরীতে। সৈকত জুড়ে দাপাদাপি ছোট থেকে বড়দের। সমুদ্রস্নানের পাশাপাশি চলছে দেদার আড্ডা। দিঘার হোটেল মালিকদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, সন্ধের পর থেকে দিঘার সৈকতে কার্যত তিল ধারণের জায়গা থাকবে না। বীরভূমের বোলপুরের কাছে কঙ্কালীতলার মন্দিরে বছরের শেষ দিনে উপচে পড়া ভিড়। নতুন বছর যাতে ভাল কাটে, তার প্রত্যাশায় পুজো দেওয়া হয় মন্দিরে। তবে ভক্তদের অনেকের মুখেই মাস্ক আছে। সেইসঙ্গে শান্তিনিকেতনেও পর্যটকদের ঢল। তারাপীঠেও আজ ভক্ত সমাগম হয়েছে। তবে আজ গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশ নিষেধ।