জয়ন্ত পাল, কলকাতা: দমদমে মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। গ্রেফতার মহিলার প্রেমিক রাজু দাস। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে বছর চল্লিশের মহিলাকে খুন করা হয় বলে দাবি পুলিশের। আজই এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় একটি বন্ধ ফ্ল্যাটের শৌচালয় থেকে এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
দমদমে মহিলার দেহ উদ্ধারের ৩ দিনের মাথায় খুনের কিনারা করল পুলিশ। মহিলার পায়ে পরা ছিল কালো সুতো। পুলিশ সূত্রে দাবি, সেই কালো সুতো দেখেই চিহ্নিত হয় দেহ। সেই সূত্র ধরেই গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত।
গত ৯ নভেম্বর দমদম থানা এলাকার নলতায় খালপাড় থেকে মাটিচাপা অবস্থায় উদ্ধার হয় এক মহিলার পচাগলা দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, খালপাড়ে গর্ত খুঁড়ে মাটি চাপা দিয়ে দেহটি রাখা ছিল। কিন্তু ওই জায়গা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা খবর দিলে দমদম থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। কিন্তু মহিলার পরিচয় সেই সময় জানা যায়নি। পুলিশ আশপাশের এলাকায় খোঁজখবর শুরু করে।
এরপর মহিলা যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়িওয়ালার খোঁজ পায় পুলিশ। জানা যায়, বছর চল্লিশের ওই মহিলার নাম কাকলি দত্ত। রাজু দাস নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর। রাজুর সঙ্গেই তিনি ভাড়া থাকতেন নলতায়। এরপর পুলিশ অভিযুক্তর খোঁজ শুরু করে।
শনিবার বাদরা এলাকা থেকে প্রেমিক রাজু দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, রাজু পেশায় রাজমিস্ত্রি। বাড়ি বাংলাদেশে। মহিলার শ্বশুরবাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙায়। ইতিমধ্যে তাঁর স্বামীও দমদম থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু কেন খুন হলেন ওই মহিলা?
পুলিশ সূত্রে দাবি, রাজুর সঙ্গে কাকলির ইদানীং বনিবনা হচ্ছিল না। গত ৪ নভেম্বর বিবাদ চরমে ওঠে। অভিযোগ, সেই সময় ইট দিয়ে আঘাত করে কাকলিকে খুন করেন রাজু। মৃতদেহ যাতে চিনতে না পারা যায়, তার জন্য ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় মুখ। তাতেও শেষরক্ষা হল না। গ্রেফতার হল অভিযুক্ত।
এদিকে, এয়ারপোর্ট থানা এলাকার পূর্ব বিশরপাড়া স্টেশন রোডের একটি ফ্ল্যাট থেকে রবিবার উদ্ধার হয়েছে এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ। ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন ৩৭ বছরের তাপস দাস। ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা এয়ারপোর্ট থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে শৌচালয় থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার করে।
কী কারণে মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট নয়।