কলকাতা : পুজোয় ভালমন্দ খাওয়ার শখ কার নেই বলুন তো ? রেস্তরাঁয় চেটেপুটে ভোজ হোক বা বাড়িতে এলাহি আয়োজন ... বাঙালি এক পায়ে রাজি ! কিন্তু পাতে যদি পড়ে বনেদি বাড়ির রান্না, তবে ? কিন্তু নেমন্তন্ন না থাকলে কি আর বনেদি বাড়ির সাবেকি রান্না কপালে জোটে ? আলবাত জোটে !! এবার বনেদি বাড়ির রান্নার স্পেশ্যাল কয়েকটি পদের হোম ডেলিভারি দেওয়ার কথা ভেবেছে কলকাতার কয়েকটি ফুড ডেলিভারি সংস্থা। 


মহাপঞ্চমী থেকে মহানবমী, বিভিন্ন বাঙালি পদ পরিবেশনের পাশাপাশি, একটি করে বনেদি বাড়ির পুজোর পদ থালিতে রাখছে 'আনাড়ি' বলে একটি সংস্থা।  তাদের দাবি. 'বাংলার বিভিন্ন কৃষক ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উৎপাদিত দ্রব্য দিয়েই পেটপুজোর আয়োজন করে' । আনাড়ির পাঁচদিনের এই পেটপুজোর মেনুর প্রতিদিন থাকবে এক এক রকমের দেশী ধানের চাল। যেমন, কালো নুনিয়া, রাধাতিলক, তুলাইপাঞ্জি, গোবিন্দভোগ, বাসমতি।  প্রতিদিন থাকবে একটা করে বনেদি বাড়ির সাবেকি পদ। 
Home delivery এবং Take away র সুবিধা আছে৷ অর্ডার দিতে যোগাযোগঃ +91-9831002110/ +91-9038585683
 
বনেদি বাড়ির পদের মধ্যে থাকছে, শিবপুর রায়চৌধুরী বাড়ির কলার বড়ার পায়েস, গিরিশ ভবনের ছানার কালিয়া, চোরবাগানের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের ভেটকি মাছের ঘণ্ট, রানি রাসমণির পরিবারের পেরাকির পায়েস। একেকটি পদ থাকছে একেক দিনের মেনুতে। কবে কী মেনু থাকছে, ফোন করতে পারেন উপর্যুক্ত নম্বরে। 

এছাড়াও https://yotto.in/ নামে একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপও পুজোর পাঁচদিন পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন জায়গায় পুজোর রেডিমেড ভোগ পৌঁছে দিচ্ছে ঘরে ঘরে। কাঁথি রাজবাড়ি, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ ব্যারাকপুর, রামকৃষ্ণ মিশন ব্যারাকপুর , আদ্যাপীঠের মতো জায়গার ভোগ, যার জন্য সারা বছর মুখিয়ে থাকেন মানুষ, সেই  ভোগ তারা পৌঁছে দিচ্ছে পুজোর কয়েকটা দিন। এছাড়াও সন্তোষপুর লেক পল্লির মতো সর্বজনীন পুজোর ভোগও পৌঁছে দিচ্ছে এই ফুড ডেলিভারি অ্যাপ।  ভোগ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে স্থানীয়দের কাছে। এত বুকিং এখনই হয়ে গেছে যে, অনেক জায়গার বুকিং ক্লোজ করতে হয়েছে। হবে এখনও ভোগ বুক করতে পারবেন  হাবড়া, অশোকনগর, ব্যারাকপুর আগরতলার মানুষরা, জানালেন কর্ণধার ডা. সুবীর সাহা। 
এর পাশাপাশি ক্যান্সার হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রম , অনাথ আশ্রমে পৌঁছে দিচ্ছেন নিখরচায়। উদ্দেশ্য একটাই, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ যাতে ভোগ খাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন। মূলত এলাকর মানুষের কাছেই পৌঁছে যাচ্ছে ভোগ।