বার্লিন : দুর্গাপুজোর উত্সবে বাংলা আর বার্লিন একাকার। ইউরোপের অন্যান্য দেশের মত এখানেও পালিত হয়েছে সর্বজনীন দুর্গোৎসব। উৎসবের আমেজে কোনও ভাটা নেই। বঙ্গের উমা-আরাধনার আবেশ ছড়িয়েছে জার্মানির মণ্ডপেও।
বার্লিনের ক্রয়েজবার্গে (Kreuzberg) একাধিক পুুজো বেশ জনপ্রিয়। জার্মানীবাসী ভারতীয়রা এই পুজোগুলিকে ঘিরে আনন্দে মেতে ওঠেন এই পুজোগুলিকে ঘিরে। জার্মানির কোলন, মিউনিখ, ফ্রাঙ্কফুটে পুজো তো হয়েছেই, নজর কেড়েছে বার্লিনের ক্রয়েজবার্গের বার্লিন সনাতনী পুজো, সংস্কৃতি স্পাস আর বার্লিন হিন্দু সোসাইটির পুজোয় অংশ নেন প্রবাসীরা।
আরও পড়ুন : লক্ষ্মীপুজোয় বৃষ্টি নিয়ে কী বলছে আবহাওয়া দফতর?
করোনা সঙ্কট কাটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে খুশি প্রবাসী বাঙালিরা। পুজো মানে তো শুধু বিধিবিধান, রীতিনিয়ম নয়, পুজো মানেই সকলের সঙ্গে দেখা। অনেক স্মৃতি ঝালিয়ে নেওয়া। আলিঙ্গনে বুঝিয়ে দেওয়া পাশে আছি। বার্লিনের পুজোতেও সেই আমেজ। শনিবার ছিল ৫দিনের দুর্গোৎসবের শেষ দিন।
ষষ্ঠী থেকে দশমী, পুজোয় বাদ যায়নি কোনও আচার-অনুষ্ঠান। প্রবাসে পুজো তো কী? রীতি মেনে নবপত্রিকা, সন্ধিপুজো, আরতি, দর্পণ বিসর্জন, সবই হয়েছে। বাঙালির অন্তরের পুজো দেখতে এসেছিলেন জার্মানরাও। পুজো মণ্ডপগুলিতে দুই বাংলার পূজারীদের পাশাপাশি জার্মান নাগরিকদের অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মত। এই উত্সব তো মিলনের।
আরও পড়ুন : দশমী বিদায় নিলেও শহরে উৎসবের রেশ, শেষবেলায় ঠাকুর দেখতে রাস্তায় প্রবীণরা
তাই পুজোর মণ্ডপে একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়। আলাপ। আড্ডা। সেই চেনা ছবি। কচিকাঁচাদের উত্সাহও ছিল চোখে পড়ার মতো। বার্লিনের ক্রয়েজবার্গে সনাতনী পুজো, সংস্কৃতি স্পাস ও বার্লিন হিন্দু সোসাইটির মন্ডপগুলিতে ছিল দর্শকদের চোখে পড়ার মতো সমাগম। দশমীতে মাকে বিদায় দেওয়ার সময় প্রার্থনা ছিল সকল অনাচার আর অশুভ শক্তির বিনাশে পৃথিবী হোক সুন্দর ও মানবিক। আর অবশ্যই মহামায়ার আশীর্বাদে বিশ্ব হোক করোনাসুর মুক্ত।