জয়ন্ত পাল, কলকাতা: করোনার তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী এবং আসন্ন। গত মাসেই প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানায় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। IIT কানপুরের গবেষণাপত্রেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, অক্টোবর ও নভেম্বরের মধ্যে ভারতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে বাঙালির প্রাণের উত্সব দুর্গাপুজো কীভাবে পালিত হবে, তাই নিয়ে সকলের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কিন্তু রথের পর থেকেই ধীরে ধীরে পুজোর বাদ্যি বাজতে শুরু করেছে। কুমারটুলি, পটুয়াপাড়ায় চেনা ব্যস্ততা না থাকলেও, প্রতিমার অর্ডার আসছে এক এক করে। কলকাতা ও জেলার বড়পুজোগুলি খুঁটিপুজোও শুরু করেছে। রবিবারই অশ্বিনীনগর বন্ধুমহল ক্লাবে হয়ে গেল খুঁটি পুজো। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অদিতি মুন্সি।
পুজোর সময় করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। তাই উতসবের আনন্দে মেতে ওঠার আগে নিতে হবে সর্তকতা । সেই কথা মাথায় রেখেই এবার অশ্বিনীনগর বন্ধুমহল ক্লাবের পুজোর সূচনা হলো দেবীকে সোনার মাস্ক পরিয়ে। দশ হাতে স্যানিটাইজার ইঞ্জেকশন সিরিঞ্জ দিয়ে সচেতন করতে চাইলেন মানুষকে। উপস্থিত ছিলেন রাজারহাট - গোপালপুরের বিধায়ক অদিতি মুন্সি। তিনিই দেবীমূর্তিতে সোনার মাস্ক পরিয়ে খুঁটিপুজোর সূচনা করেন। সঙ্গে ঢাকে কাঠি দিয়ে আনেন উত্সবের আবহ। তৃণমূল বিধায়কের কণ্ঠে ফের একবার বাংলার মেয়েদেরই জয়গান। অদিতি বললেন, 'বাংলার প্রত্যেক মেয়েই সোনার মেয়ে। মা দুর্গাকে মাস্ক পরানোর মাধ্যমে সকলকে আরও একবার মনে করিয়ে দেওয়া... মাস্ক পরুন, করোনাকে দূরে রাখুন।'
করোনা আবহে এবার ছোট করে উমা-আরাধনার পরিকল্পনা নিচ্ছেন অনেক উদ্যোক্তাই। বালিগঞ্জের ২১ পল্লির পুজো উদ্যোক্তারাও শুরু করে দিলেন তাঁদের পুজোর প্রস্তুতি। রাসবিহারী কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমারের উপস্থিতিতে রবিবার হয়ে গেল খুঁটিপুজো। খুঁটিপুজোর দিনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একাধিক চিকিৎসক।
জুলাই মাসে, IIT কানপুরের গবেষণায় আরও দুটি সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে। একটি হল, নতুন কোনও করোনার প্রজাতি বিশেষত ডেল্টা প্লাস ভয়াবহ আকার নিলে সেপ্টেম্বরেই তৃতীয় ঢেউ চলে আসতে পারে। তবে, পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হলে, তৃতীয় ঢেউ কিছুটা পিছিয়ে, নভেম্বরে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে পুজোর আগেই দেশ মুখোমুখি হতে পারে বড় ধাক্কার। তাই খুঁটিপুজো থেকেই করোনা সতর্কতার বার্তা দিচ্ছে কমিটিুলি।