কলকাতা :  সপ্তাহের প্রথমদিনই শহরে সেই ভ্যাকসিন নিয়ে হুড়োহুড়ির ছবি। দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট ফায়ার ব্রিগেডের কাছে পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লম্বা লাইন পড়ে। জানা গেছে, কয়েকজনকে কোভিশিল্ডের ডোজ দেওয়ার পর ঘোষণা করা হয়, এবার হরিশ মুখার্জি রোডে জয়হিন্দ ভবনে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এরপরই লাইনে দাঁড়ানো ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের মধ্যে কে আগে পৌঁছবে, তাই নিয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।  সপ্তাহ শুরুর দিনে এই ভ্যাকসিন-হয়রানির সাক্ষী থাকল মহানগর।


অন্যদিকে,  রাজ্যে অমিল ভ্যাকসিন। এবার নোটিস দিয়ে সরাসরি কেন্দ্রকে দায়ী করল কলকাতা পুরসভা।
বাগবাজার পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন গ্রহীতারা। সেখানে নোটিস লেখা, কেন্দ্র না পাঠানোয় ভ্যাকসিন দেওয়া যাচ্ছে না। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন পেতে হয়রানি বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে এর জন্য যে কেন্দ্রই দায়ী তা সাধারণ মানুষকে জানাতে বিভিন্ন পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে নোটিশ ঝোলাতে বলা হয়েছে। 

রবিবারই কলকাতা পুরসভার তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, শুধুমাত্র সোমবার দেওয়া হবে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিন কম দেওয়ায় মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টাকাল বন্ধ থাকবে কোভিশিল্ড দেওয়া।
ডোজের অভাবে এর আগে কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিনেশেন বন্ধের নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয় কসবার হালতু থেকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, পুরসভার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। শুধুমাত্র কোভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয় ৬ ও ৭ তারিখ। 


শনিবারই কোভিশিল্ডের সাড়ে তিন লক্ষের বেশি ডোজ এসেছে। কোভ্যাক্সিনের এসেছে ১ লক্ষ ডোজ। 


রবিবারই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে রাজ্যের জন্য আরও ভ্যাকসিন চান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। নরেন্দ্র মোদিকে লেখা চিঠিতে অধীর চৌধুরী লেখেন, রাজ্যের জনসংখ্যা ১০ কোটির বেশি। সে জায়গায় ২ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ৩ কোটির কিছু বেশি মানুষ করোনার ভ্যাকসিন পেয়েছেন।  রাজ্যের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ এখনও ভ্যাকসিন পায়নি। করোনার থার্ড ওয়েভের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের ভ্যাকসিনের কোটা আরও বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।  ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগে একাধিকবার সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কার্যত একই সুরে রাজ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন অধীর।