কলকাতা: ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সমর্থকদের ওপর বুধবার পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণের পর থেকেই রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় শাসক দলকেই বিঁধেছে বিরোধী শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ঘটনাতেও বিঁধেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, 'ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সমর্থকদের ওপর এমন অত্যাচারের ছবি দেখে খুব খারাপ লাগল। এর জন্যও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী। নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে নবান্নে নিয়ে গিয়ে ভোটের আগে একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু আজ ইস্টবেঙ্গল ক্লাব বিক্রি হয়ে যাওয়ার পথে। আইএসএল খেলা অনিশ্চিত। তেমন হলে তো খুবই খারাপ হবে। কোটি কোটি মানুষের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ক্লাবটা আজ অন্ধকার গলিতে।'
এই নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সমর্থকদের ওপর যেভাবে আক্রমণ হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। মুখ্যমন্ত্রী তো সেই সময় নিজেই উপস্থিত ছিলেন চুক্তির সময়। তাহলে আজ তো তাঁকেই পুরো বিষয়টা সামাল দেওয়া উচত। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব যাতে সব টুর্নামেন্টে সম্মানের সঙ্গে খেলতে পারে সেদিকটা মুখ্যমন্ত্রীর নিশ্চিত করতে হবে।'
তৃণমূল নেতা ও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র এই ঘটনায় সমর্থকদের পাশে থাকার কথা জানিয়ে বলেছেন, 'ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে কখনওই বিক্রি করা যাবে না। আমি সমর্থকদের পাশে সবসময়ই রয়েছি। যারা প্রয়োজন মনে করবে, আমি সবার আগে চলে যাব। আমি এমনটাও বলতে চাই যে সেরকম হলে আমি আমার এক মাসের বেতনও তুলে দেব।'
উল্লেখ্য এর আগেও ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের সমর্থকদের লড়াইয়ের সাক্ষী থেকেছে ময়দান। কিন্তু বুধবার ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা লেসলি ক্লডিয়াস সরণি। লাল-হলুদের দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক মারামারি হয়। থামাতে গেলে, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিক্ষোভকারীদের। বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিশ। নামাতে হয় ঘোড়সওয়ার পুলিশ। অশান্তির জেরে মারামারিতে জখম হন বেশ কয়েকজন ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। পুলিশের তরফে অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয় পরে।