পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিজেপি মণ্ডল সভাপতিকে অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করল খেজুরি থানার পুলিশ (Police)। ধৃত শ্যামাপ্রসাদ মাইতি বিজেপির নন্দীগ্রাম ৩ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি।


খেজুরি থেকে অস্ত্র সমেত দুই দুষ্কৃতী গ্রেফতার করতেই উঠে আসে যোগসূত্র


পুলিশ সূত্রে খবর, ২১ জুলাই খেজুরি থেকে অস্ত্র সমেত দুই দুষ্কৃতী গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, ধৃতদের জেরা করে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মাইতির নাম উঠে আসে। বিজেপি নেতাই অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন বলে ধৃতরা দাবি করে, জানিয়েছে পুলিশ। ধৃতের স্ত্রীর দাবি, স্বামী বিজেপি করেন বলেই বারবার মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। 


রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের বাড়ি থেকেই বোমা উদ্ধার


প্রসঙ্গত, রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের বাড়ি থেকেই বোমা উদ্ধারের একাধিক ঘটনা এবার উঠে এসেছে। ইতিমধ্য়েই একের পর এক হিংসার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শাসক এবং বিরোধীদের। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব, ভোটের দিন, এবং পঞ্চায়েত পরবর্তী সময়েও হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে। 


রাজ্যে মিথ্য়ে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ আরও একাধিক 


তবে নন্দীগ্রামের এই ঘটনায় আদৌ ভোটের ইস্যু জড়িয়ে আছে কিনা, তা তদন্তের পরেই উঠে আসবে। তবে রাজ্যে মিথ্য়ে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ চলতি বছরে শুধুই বিজেপির তরফেই নয়, শাসকদলের অনেকেই এই অভিযোগ তুলেছেন। কারণ একদিকে যখন পঞ্চায়েত ভোট চলছে, ঠিক সেই সময়েই মুদ্রার অপরপিঠে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবের মুখে পড়েছেন একের পর এক শাসকদলের নেতারা।


আরও পড়ুন, 'চাকরি হোক, মমতা চান না', মন্তব্য শুভেন্দুর


'এত আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে আসছে ?' একসময় এই প্রশ্ন উঠে এসেছিল ফিরহাদের মুখে


তবে গোটা ঘটনা প্রকৃতই কোন দিকে মোড় নেবে, তা এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনায় এখনও সেভাবে প্রতিক্রিয়া দেয়নি কেউ। তবে পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলেও রাজ্যের নানা জায়গা থেকে এখনও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের খবর আসছে। এবং এত আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে আসছে, এই প্রশ্ন অবিরতই করে চলেছে প্রত্যেকেই। এর আগে এই প্রশ্ন তুলে যোগী রাজ্যের দিকে আঙুল তুলেছিলেন খোদ ফিরহাদ হাকিম।যদিও পাল্টা শাসকদলকেও বারবার বিজেপির তোপের মুখে পড়তে হয়েছে। তবে সম্প্রতি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় 'রাজ্য বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে' বলেও তোপ দাগা হয়েছে বিরোধীদের তরফেই।