অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : তৈরি হয়ে গেছে টানেল, দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে স্টেশনের কাজ। বসেছে লাইন। এবার তাতেই চাকা গড়ানোর পালা। শনিবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদা স্টেশনে শুরু হচ্ছে ট্রায়াল রান।
বর্তমানে ইস্ট-ওয়েস্টের, সেক্টর ফাইভ থেকে ফুলবাগান স্টেশন পর্যন্ত চলছে মেট্রো। এবার ফুলবাগান থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার, পরিষেবা বাড়াতে তৎপর মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ইস্ট-ওয়েস্ট প্রকল্পের অন্যতম বড় স্টেশন হতে চলেছে শিয়ালদা। কী কী থাকছে ?
- থাকবে ৩০টি টিকিট কাউন্টার।
- ১৩টি এক্সক্যালেটর।
- ৫টি লিফট।
মেট্রো স্টেশন থেকে যাত্রীরা যাতে সহজে শিয়ালদা মেন ও সাউথে যেতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে মেট্রো সূত্রে দাবি। শুধু আয়তনের দিক থেকে নয়, অন্যতম জনবহুল মেট্রো স্টেশন হয়ে উঠতে পারে শিয়ালদা। কারণ মেট্রো কর্তৃপক্ষ মনে করছে, ২০২৫ সালে শিয়ালদা মেট্রো স্টেশনে প্রতি ঘণ্টায় ১৭ হাজার লোক ঢুকবে এবং ২২ হাজার লোক বেরবে।
ভিড়ের কথা ভেবে অভিনব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে শিয়ালদা মেট্রো স্টেশনে।
শনিবার থেকে ট্রায়াল রান শুরু হবে। সে কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার শেষ করা হয়েছে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম ইনস্টলের কাজ। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হল থার্ড লাইনে।বউবাজার বিপর্যয়ের পর জোর ধাক্কা খেয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ। ফুলবাগান থেকে শিয়ালদায় আসার পর মেট্রোর রেক কীভাবে আপ লাইন থেকে ডাউন লাইনে যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন ইঞ্জিনিয়াররা।
অবশেষে তারও উপায় খুঁজে বের করা হয়েছে। শিয়ালদায় ঢোকার ৬০০ মিটার আগে আপ ও ডাউন লাইনের সংযোগ করা হয়েছে। শিয়ালদা থেকে যাত্রী তোলার পর, ৬০০ মিটার দূরে গিয়ে, রেকটি অন্য লাইনে চলে যাবে। ট্রায়ালের পর চূড়ান্ত পরিষেবা চালুর জন্য কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির কাছে অনুমতি চাইবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তারা আশাবাদী সব ঠিকঠাক থাকলে, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই শিয়ালদা থেকে চালু হতে পারে মেট্রো।এর ফলে ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা শিয়ালদা থেকে সহজে মেট্রোরেলের সুবিধে পেতে পারবেন। আপাতত সেই দিকেই চেয়ে শুধু মহানগরী নয়, মফস্বলের অনেক যাত্রীও।