হিন্দোল দে, অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: দিন কয়েক আগে কলকাতার দু’জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় দু’জনের। এই দুর্ঘটনার পরেও বহু জায়গায় ফেরেনি হুঁশ। বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে ইলেকট্রিক বক্স, বাতিস্তম্ভ থেকে বেরিয়ে রয়েছে তার। তবে পুরমন্ত্রীর আশ্বাস, যাতে আর কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবারই দু’দুটি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে কলকাতা। পাটুলিতে জমা জলের মধ্যে মাছ ধরতে নেমে লুটিয়ে পড়েছিলেন এক তরুণ। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হরিদেবপুরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গায়ের উপর পড়ায় মৃত্যু হয় এক বাইকচালকেরও। একই দিনে পরপর দু’টি ঘটনার পরে কী অবস্থায় রয়েছে ইলেকট্রিক বক্স, বাতিস্তম্ভগুলি? অকালে দু’টি তরতাজা প্রাণ চলে গেলেও টনক যে আদৌ নড়েনি তারই প্রমাণ মিলল বেশ কিছু জায়গায়।
সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ও বিডন স্ট্রিটের সংযোগস্থলে বিপজ্জনক অবস্থায় এভাবেই রয়েছে বিদ্যুতের বক্স। একই ছবি জওহরলাল নেহরু রোড ও পার্ক স্ট্রিটের সংযোগস্থলেও। এখানেও খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে ইলেকট্রিক বক্স। বেরিয়ে রয়েছে তার। মরণফাঁদ শরৎ বোস রোড ও এজেসি বোস রোডের সংযোগস্থলেও। ফুটপাথের ওপর তারের জটলা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে দু’টি ইলেকট্রিক বক্স। এর পাশ দিয়েই চলাচল করছেন পথচারীরা।
টালিগঞ্জ স্টেশনের কাছে ফুটপাথে, মাটি থেকে কিছুটা উপরে বাতিস্তম্ভ থেকে বেরিয়ে আছে তার। পাশেই রয়েছে চায়ের দোকান। ছবিতেই ধরা পড়েছে একের পর এক গাফিলতি। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আশ্বাস দিচ্ছেন, ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এড়াতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা এটা নিয়ে ওয়াকিবহাল। সিইএসসি, কেএমসি, বিদ্যুৎ দফতর, সবার সঙ্গে কথা বলছি। এরকম দুর্ঘটনা যাতে এড়ানো যায় তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’
এদিকে, হরিদেবেপুরের ঘটনার তদন্তে নেমে গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ। গাফিলতির দায়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে পৈলানের স্টেশন ম্যানেজারকে। সতর্ক করা হয়েছে আরও দুই অফিসারকেও।