অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই সতর্ক কলকাতা পুরসভা। শিশুদের জন্য তৈরি করা হল সেফ হোম। থাকছে মায়েদের থাকার ব্যবস্থা। চিকিত্সা পরিষেবার জন্য কলকাতার বেসরকারি শিশু হাসপাতালের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হবে মউ। জানালেন অতীন ঘোষ।


 


করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে সারা দেশ। দেশে বর্তমানে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, তৃতীয় ঢেউয়ে, শিশুরা আগের থেকে বেশি সংখ্যায় আক্রান্ত হতে পারে। সোমবার নবান্নে এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোভিড বাংলায় অনেকটাই কমেছে। এখন ৪ শতাংশ আছে। ৮ দফায় ইলেকশনের সময় ৩২ শতাংশে গিয়েছিল। অনেক জেলায় ৭-৮টা আছে। উত্তর ২৪ পরগনায় বেশি আছে। কলকাতায় অনেকটা কমেছে। এখনও অবধি ২ কোটি ভ্যাকসিন দিয়েছি। ২১ তারিখ থেকে আরও ১৭ লক্ষ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। থার্ড যেটা আসবে বলছে, সেটার জন্য বাচ্চাদের প্রতি যত্ন নিতে হবে। বাচ্চাদের বেড বাড়ানোর চেষ্টা করছি। মায়েদের শরীরের যত্ন নিতে হবে। তারা ভালো থাকলে বাচ্চারা ভালো থাকবে।


এই পরিস্থিতিতে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই শিশুদের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতায় প্রথম তৈরি হচ্ছে শিশুদের সেফ হোম। সিঁথির হরেকৃষ্ণ শেঠ লেনে কর্মরত মহিলাদের হস্টেলে ৬০ বেডের এই সেফ হোম তৈরি হচ্ছে। থাকছে মায়েদের থাকার ব্যবস্থাও। পুরসভা সূত্রে খবর, চিকিত্সা পরিষেবার জন্য ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হতে চলেছে মউ।


শিশু চিকিৎসার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ নেবেন পুরসভার মেডিক্যাল অফিসাররা। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ বলেন, আশার কথা, ২-১৮ বছর বয়সীদের জন্য ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল ভারতে শুরু হয়েছে। এই ট্রায়াল সফলভাবে সম্পূর্ণ হলে এবং সরকারের অনুমোদন পেতে, অপ্রাপ্তবয়স্করাও করোনার ভ্যাকসিন নিতে পারবে।