ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail) পৌঁছলেন ইডি-র (Enforcement Directorate) তিন আধিকারিক। গতকাল অর্পিতাকে জেরার পর আজ জেলে পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, গতকালই পার্থর সঙ্গে যৌথ ব্যবসা নিয়ে নথির সত্যতা স্বীকার করেছেন অর্পিতা। তাঁর সেই স্বীকারোক্তিকে সামনে রেখেই আজ পার্থকে জেরা করা হবে।


পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে প্রেসিডেন্সিতে ইডি-


প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের ১/২২ নম্বর ব্লকের ২ নম্বর সেলে রয়েছেন পার্থ চট্টোাধ্যায়। আজ ১২টা ৪০ মিনিট নাগাদ সেখানে যান ইডি-র তিন আধিকারিক। জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ভেতরে ঢোকেন তাঁরা। গতকাল বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি মহিলা সংশোধনাগারে গিয়ে অর্পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এজেন্সির আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, পার্থ এবং অর্পিতা দুইজনেই আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন। তার আগে ইডি হেফাজতে থাকাকালীন যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখতে গতকাল প্রায় ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসবাদ করা হয় অর্পিতাকে। বেশ কয়েকটি বিষয় ইডি-র কাছে স্বীকার করে নিয়েছেন অর্পিতা, এমনই খবর সূত্রের। সেই সমস্ত বিষয়েই এবার পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।


আরও পড়ুন ; প্রেসিডেন্সি জেলে শশী, খোঁজ নিলেন না পার্থর


মঙ্গলবার আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ফের জেরা করে ইডি। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ এক মহিলা সহ ইডি’র ৩ জনের প্রতিনিধি দল, আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে পৌঁছন। জেল সূত্রে খবর, ওয়ার্ড থেকে জেলারের অফিসে নিয়ে আসা হয় অর্পিতাকে। সেখানে ইডি’র আধিকারিকরা বেশ কয়েক ঘণ্টা জেরা করেন। তাঁর দুটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের অলঙ্কার ও সোনার বাট উদ্ধার হওয়ার পরেও অর্পিতার দাবি ছিল, তিনি এসবের কিছুই জানেন না। যদিও ইডি সূত্রে দাবি, তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই পার্থ-অর্পিতা নিবিড় যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। 


অর্পিতার ৩৪টি এলআইসি পলিসিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নমিনি রাখা, একাধিক সংস্থায় দুজনের যৌথ অংশীদারী। ইডি সূত্রে দাবি, এমন নানা তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে তাদের। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, বিপুল অঙ্কের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রাক্তন মন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠের সব সম্পত্তির নাগাল পেতে চাইছেন তারা। 


আর কোথাও টাকা বা সোনা লুকনো আছে কি না ? কলকাতা এবং জেলায় আর কত বেনামী সম্পত্তি ছড়িয়ে আছে ? কোথায় কটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে ? আর কোনও সংস্থায় পার্থ-অর্পিতার যৌথ অংশীদারিত্ব আছে কি না, সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের জেরায় এমনই সব প্রশ্নের উত্তর অর্পিতার কাছে জানতে চেয়েছে ED। সূত্রের দাবি, অর্পিতার কাছে পাওয়া উত্তর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করে ক্রসচেক করতে আজ সংশোধনাগারে যান তদন্তকারীরা।