কলকাতা: সকালে পার্কস্ট্রিট, রাতে বিবাদী বাগ। রাতের শহরে ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। বৃহস্পতিবার রাতে টেলিফোন ভবনের কাছে যুব কল্যাণ দফতরের বিল্ডিং-এক একটি বহুতলে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে প্রথমে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন পৌঁছয়, দফায় দফায় আরও দমকলের ইঞ্জিন আসে। আগুনের মূল উৎসে পৌঁছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আগুন নেভানোর কাজ। ভিতরে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। তবে অতিরিক্ত হাওয়ার কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ার কারণেও আশঙ্কা রয়েছে।


অফিস পাড়া হওয়ার কারণে এই বহুতলের ভিতরে কেউ ছিলেন না। তাই এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী কোনও প্রাণহানির খবর মেলেনি। জানা গিয়েছে, এই বহুতলের নিচেই ছিলেন কেয়ারটেকর। তাঁর নজরেই প্রথমে ঘটনাটি আসে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। পার্ক স্ট্রিটের মতোই হাইড্রলিক ল্যাডার নিয়ে এখানে চলছে কাজ। উপস্থিত হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলার কর্মীরাও। উল্লেখ্য, কাজ করতে গিয়ে ইতিমধ্যেই এক দমকলকর্মী আহত হয়েছেন।


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। জানিয়েছেন এটি বহু পুরনো একটি বাড়ি। কী থেকে আগুন লেগেছে এখনও জানা যায়নি। আপাতত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও স্পষ্ট নয়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিস্তারিত জানাবেন বলেছেন তিনি। যদিও আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলেই ইঙ্গিত। শহরে কার্যত লকডাউনের কারণে এই বিল্ডিং-ও বন্ধ ছিল। ভিতরে কেউ ছিলেন না। তবে শহরে একই দিনে পরপর অগ্নিকাণ্ডে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। 


এদিন দুপুরে এপিজে স্কুলের পাশে শাড়ির একটি গোডাউনে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন পৌঁছে যায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ। পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। তদারকি করেন গোটা বিষয়টির। দমকল সূত্রে খবর, লকডাউনে অফিস থাকায় গোউডাউনে কেউ ছিলেন না। পাশাপাশি দমকলমন্ত্রী এও জানিয়েছেন, কোনও প্রাণহানি হয়নি। 


দমকলকর্মীদের প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে। প্রচুর ধোঁয়ার কারণে পায়ে হেঁটে ওপরে ওঠা সম্ভব ছিল না। সেই কারণে ৬৫ মিটার হাইড্রলিক ল্যাডার লাগিয়ে শুরু কাজ। বাইরে থেকে কাজ শুরু করা হয় আকাশচুম্বী ল্যাডার দিয়ে। অন্যদিকে, সিঁড়ি দিয়ে চারতলায় ওঠে গুদামে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান দমকলকর্মীরা। জোড়া কৌশলে ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।