সন্দীপ সরকার, কলকাতা: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার বদলি করা হল অভিযুক্ত সিস্টার ইন চার্জকে। মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে তাঁকে। যদিও একে রুটিন বদলে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।


কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে টসিলিজুমাব কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ফের বদলি। চিকিৎসকের বদলির পর তিনদিনের ব্যবধান। আগেই বদলি করা হয়েছিল অভিযুক্ত চিকিৎসক দেবাংশী সাহাকে। শীতলকুচির একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বদলি করা হয় ওই চিকিৎসককে। এবার বদলি করা হল গ্রিন বিল্ডিংয়ের সিস্টার ইন চার্জকে। সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিস্টার ইন চার্জ সুনীতা ভৌমিককে কোচবিহারের মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে বদলির নির্দেশ দিয়েছে।


স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ভুয়ো প্রেসক্রিপশনের ভিত্তিতে ওই সিস্টার ইন চার্জই ২৬টি টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন চিকিৎসক দেবাংশী সাহাকে। যা একজন মেডিক্যাল অফিসারের সইয়ের ভিত্তিতে দেওয়া যায় না। প্রয়োজন ছিল RMO বা সিনিয়র চিকিৎসকের সইয়ের।পাশাপাশি গ্রিন বিল্ডিংয়ের স্টকে না থাকা সত্ত্বেও, বিনা নথিতে সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিং থেকে টসিলিজুমাব আনিয়েছিলেন সুনীতা ভৌমিক।


সূত্রের দাবি, ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপে যে দু’জনকে কথা বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁদের মধ্যে একজন চিকিৎসক দেবাংশী সাহা, অন্যজন ওই সিস্টার ইন চার্জ সুনীতা ভৌমিক। এই সব বেনিয়মের কারণেই সিস্টার ইন চার্জের উপর শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে বলে সূত্রের খবর। করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন। আর এই ইঞ্জেকশন নিয়ে কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর জোড়া তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুরু হয় তদন্ত। আর তাতেই বেনিয়মের বিষয়টি সামনে আসে। এরপরই স্বাস্থ্য দফতর বিভাগীয় পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার ভিত্তিতেই গত ১১ জুন মেডিক্যাল অফিসার দেবাংশী সাহাকে বদলি করা হয়। কোচবিহারের শীতলকুচির জটামারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বদলি করা হয় ওই চিকিৎসককে। এবার বদলি করা হল সিস্টার ইন চার্জকে। যদিও, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এটি রুটিন বদলি।