সঞ্চয়ন মিত্র,  কলকাতা:  ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের আহ্বান। কলকাতার যাবতীয় বড় দুর্গাপূজাপুজো প্রায় সবাই আসে এই ফোরামের অধীনে। কিছু জেলার পুজোও। দুর্গাপূজার প্রাক্কালে তাদের সবার জন্য একটা গাইডলাইন প্রকাশ করা হল, যেখানে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পুজোর সঙ্গে যুক্ত সবার ভ্যাকসিনেশনের ওপর।


ফোরাম বলেছে, শুধু করোনা অতিমারীই নয়, আমফানের পর ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে হয়েছে। করোনার প্রকোপের মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুরসভা সার্বিক টিকাকরণের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও। দায়িত্বশীল সামাজিক সংগঠন হিসেবে ফোরাম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারে না। সেইসঙ্গে দুর্গাপুজো নিয়ে মানুষের আবেগ ও আনন্দের সঞ্চার এবং পুজোকে কেন্দ্র করে দুই মাসে কয়েক হাজার কোটি টাকার ব্যবসার মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা সচল হয়ে ওঠার বিষয়টিও অস্বীকার করা যায় না।আগামী তিন মাসে টিকাকরণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের আরও উন্নতির আশা করে সংগঠনের অন্তর্ভূক্ত ক্লাব ও পুজো আয়োজকদের বিবেচনার জন্য কয়েকটি প্রস্তাবও দিয়েছে ফোরাম। 


প্রস্তাবগুলির মধ্যে রয়েছে বাজেট নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থ রুচির পুজোর আয়োজন এবং উদ্বৃত্ত অর্থে জনহিতকর কাজের উদ্যোগ। এছাড়াও পুজোর সঙ্গে জড়িত শিল্পী, মণ্ডপশিল্পী-কর্মী, ঢাকি, পুরোহিতদের মতো সবার সম্পূর্ণ টিকাকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা, যথাসম্ভব খোলামেলা মণ্ডপ তৈরি করে দর্শকদের বাইরে থেকে প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা করা, মণ্ডপের ভেতরের কাজ কম করে বাইরের কাজ দৃষ্টিনন্দন করে তোলার দিকে গুরুত্ব প্রদানের মতো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।


ফোরাম বলেছে, মণ্ডপে প্রবেশ পথ এমনভাবে করতে হবে  সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় থাকে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, মণ্ডপে ভিড় যাতে না হয়,  প্রবেশ  ও বেরোনোর সময় স্যানিটাইজের ব্যবস্থা, প্রসাদে কাটাফল পরিহার করার মতো প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। বিসর্জনের সময় শোভাযাত্রায় যথাসম্ভব কম লোক নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছে ফোরাম। গতবারের মতো এবারও আদালত ও সরকারের নির্দেশ মেনে সুষ্ঠুভাবে পুজোর আয়োজন করা যাবে বলেও ফোরাম আশা করেছে।