কলকাতা: কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ উড়ালপুলগুলির (Kolkata Flyovers) ভারবহনক্ষমতা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এইচআরবিসি-র সঙ্গে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) বৈঠকে এই  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ভারবহনক্ষমতা পরীক্ষা করা হবে শহরের ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ উড়ালপুলের।জানা গেছে, আড়াই দিন ধরে পরীক্ষা চলবে প্রতিটি উড়ালপুলের। ভারবহনক্ষমতা পরীক্ষার জন্য পর্যায়ক্রমে বন্ধ রাখা হবে উড়ালপুলগুলি। 


জানা গেছে, চলতি মাসের শেষের দিক থেকেই এই পরীক্ষার কাজ শুরু হবে।  নভেম্বরের শেষে পরীক্ষা হবে পার্কস্ট্রিট উড়ালপুলের। অতিরিক্ত ব্যস্ত হওয়ার কারণে এজেসি বোস উড়ালপুলের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে  টানা বন্ধ না রেখে ৮ ঘন্টা বন্ধ করে পরীক্ষার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 


উল্লেখ্য, মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পর শহরের বিভিন্ন উড়ালপুলের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। এর আগে শিয়ালদহ ও জীবনানন্দ সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছিল। শহরের সমস্ত সেতু ও উড়ালপুলের হাল কী, তা জানতে সেতুগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। উত্তর কলকাতা অরবিন্দ সেতুরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। বালিগঞ্জের বিজন সেতুরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার জন্য সেতুগুলিতে কয়েকদিনের জন্য যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু এবার টানা বন্ধ না রেখে দিনের কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 


মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ের পর রাজ্যের সবকটি ব্রিজেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে ছিল টালা ব্রিজও।  ২০১৯-এর অক্টোবরে সেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টেই বলা হয়, মেরামতি করে লাভ হবে না। ভেঙে ফের নতুন করে তৈরি করতে হবে টালা ব্রিজ। এরপর ২০২০-র পয়লা জানুয়ারি থেকে হাত দেওয়া হয় ব্রিজ ভাঙার কাজে।  আগামী বছর পয়লা বৈশাখের আগেই নতুন চেহারায় খুলে দেওয়া হতে পারে টালা ব্রিজ। এমনই চিন্তাভাবনা রয়েছে সরকারের। কয়েকদিন আগে বিধানসভায় এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন পূর্তমন্ত্রী।


জানা গেছে, টালা ব্রিজের সংস্কার প্রায় শেষের পথে। সরকারি সূত্রে খবর, আগামী বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করে, মার্চ-এপ্রিলে নাগাদ রেল ওভারব্রিজ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।