কলকাতা: নিম্নচাপের (Depression) প্রভাব কাটিয়ে বাধাহীন উত্তুরে হাওয়া। ৬ দিন পর, কলকাতায় ফের কুড়ির নীচে নামল তাপমাত্রার (Temperature) পারদ। উত্তুরে হাওয়ার হাত ধরে দক্ষিণবঙ্গে ফিরতে চলেছে শীতের আমেজ (Winter In kolkata)। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি নীচে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী কয়েকদিন ২-৩ ডিগ্রি পারদ পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও নামবে পারদ। শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন। বঙ্গোপসাগরে (Bay Of Bengal) তৈরি নিম্নচাপ অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhrapradesh), তামিলনাড়ু (TamilNadu) উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। এর ফলে সপ্তাহান্তে ফের একবার পূবালি হাওয়ার প্রভাবে রাজ্যে জলীয় বাষ্প ঢুকবে। তার জেরে কমবে শীতের আমেজ।
কলকাতা (Kolkata)সহ দক্ষিণবঙ্গে ফিরছে শীতের (Winter) আমেজ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল, আজ থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমবে। ফের বইবে উত্তুরে হাওয়া। আগামী চার দিন থাকবে হেমন্তের পরিবেশ। ওই সময়ের মধ্যে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে তাপমাত্রা (Temperature)।
শুষ্ক আবহাওয়া ফিরবে বাংলায় (West Bengal)। কমবে পূবালী হাওয়ায় জলীয়বাষ্পের দাপট। আগামী চার দিন হেমন্তের পরিবেশ। দক্ষিণবঙ্গে আজ আংশিক মেঘলা আকাশ আবহাওয়ার উন্নতি। কাল থেকে কমবে রাতের তাপমাত্রা। আজ থেকে বাড়বে দিনের তাপমাত্রা। সামান্য হলেও ফিরবে রাতে ও সকালে শীতের আমেজ। আগামী ৪ দিনে দু থেকে তিন ডিগ্রি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমতে পারে ।কাল কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি কম। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বাধিক ৯৩ শতাংশ, ন্যূনতম ৭৮ শতাংশ।
পূবালি হাওয়া ও নিম্নচাপের প্রভাব সম্পূর্ণ কেটে যাওয়ায় গতকাল থেকে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গ ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় শুষ্ক আবহাওয়া। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রাতে তাপমাত্রা প্রায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি নামে। আগামী কয়েকদিনে বেশ কিছুটা কমবে তাপমাত্রা। এদিকে, জেলায় জেলায় ভোরের দিকে কুয়াশা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার জেরে যান চলাচলও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরে যদিও ভোরের দিকে শীত শীত ভাব রয়েছে। তবে বেলা বাড়লেই আরাম উধাও হবে বলেই জানান হয়েছে।
শীতের শুরুতেই কুয়াশার দাপট। জেলায় জেলায় একই ছবি। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা। জাতীয় ও রাজ্য সড়কে কুয়াশার কারণে সকালের দিকে গাড়ি ধীর গতিতে চলে। খনি অঞ্চলেও একই অবস্থা। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ৮টাতেও সূর্যের আলোর দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকায় গাড়ি চলেছে ধীর গতিতে। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর, বান্দোয়ান, বাঘমুন্ডিতে ভোর থেকেই ঘন কুয়াশা। গাড়ি চলে ধীর গতিতে। ট্রেনও ধীর গতিতে চলে।