অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: কথাতেই আছে বাঙালির ঘুরতে যাওয়ার অর্থ হল- 'দী-পু-দা'! অর্থাৎ দীঘা-পুরী-দার্জিলিং। আর এবার সেই জগন্নাথ ধাম পুরীতে যেতে আর বেশি সময় লাগবে না। মাত্র ৪ ঘণ্টাতেই শ্রীক্ষেত্রতে পৌঁছনো যাবে। অবাক লাগলেও এমনই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রেল মন্ত্রক। হাওড়া থেকে মুম্বই, চেন্নাই ও পুরী রুটে হাইস্পিড ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। 


এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট জোনগুলিকে। হাইস্পিড ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার।  দেশের ৮টি রুটে চালানো হবে এই ট্রেন। তাই এবার মাত্র ৪ ঘণ্টায় পুরী পৌছন যাবে। অন্যদিকে, হাওড়া থেকে ট্রেনে ১৪ ঘণ্টায় মুম্বই। হাওড়া থেকে চেন্নাই যেতে লাগবে ১৩ ঘণ্টা। ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগের হাইস্পিড ট্রেনে এই সময় লাগবে বলে রেল সূত্রে খবর। 


দেশের ৮টি রুটে হাই স্পিড ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রেল। তার মধ্যে ৩টি রুটের ট্রেন চলবে হাওড়া স্টেশন থেকে। রেল সূত্রে খবর, হাই স্পিড ট্রেনের জন্য প্রতিটি রুটে তৈরি হবে আলাদা ট্র্যাক ও রেক। রেল সূত্রে খবর, হাওড়া-মুম্বই রুটে হাইস্পিড ট্রেন পাড়ি দেবে ১ হাজার ৯৬৫ কিলোমিটার। যেখানে দুরন্ত এক্সপ্রেসে এখন মুম্বই যেতে সময় লাগে প্রায় ২৭ ঘণ্টা, সেখানে হাইস্পিড ট্রেনে লাগবে প্রায় ১৪ ঘণ্টা।  


হাওড়া-চেন্নাই রুটে ১ হাজার ৬৫২ কিলোমিটার পাড়ি দেবে হাইস্পিড ট্রেন। এখন চেন্নাই মেলে সময় লাগে প্রায় ২৮ ঘণ্টা।  হাইস্পিড ট্রেনে সময় কমে হবে প্রায় ১৩ ঘণ্টা। হাওড়া থেকে পুরীর দূরত্ব প্রায় ৫০২ কিলোমিটার। শতাব্দী এক্সপ্রেসে সময় লাগে প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা।  হাইস্পিড ট্রেনে প্রায় চার ঘণ্টাতেই পৌঁছে যাওয়া যাবে পুরী।  


এছাড়া দেশের আরও ৫টি রুটে চালু হবে হাইস্পিড ট্রেন।  রেল সূত্রে খবর, তার মধ্যে রয়েছে, দিল্লি থেকে চেন্নাই।  মুম্বই থেকে চেন্নাই।  চেন্নাই থেকে ব্যাঙ্গালোর।  ব্যাঙ্গালোর থেকে হায়দরাবাদ। এবং চেন্নাই থেকে হায়দরাবাদ।  ট্রেনে বেশি সময় লাগার কারণে অনেক যাত্রীই বিমান পরিবহণের দিকে ঝুঁকছিলেন। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত গতির ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে রেল মন্ত্রক।  
 
হাইস্পিড ট্রেনের জন্য তৈরি হচ্ছে উপযুক্ত রেক, ট্র্যাক ও বিশেষ সিগন্যালিং ব্যবস্থা। আগামী ২ মাসের মধ্যে প্রতিটি জোনের হাতে সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়ার কথা।