কলকাতা: মনোহরপুকুরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। আহত মেয়ে, ১০০ নম্বরে ডায়াল করে খুনের কথা স্বীকার স্বামীর। দু’বছর ধরে কর্মহীন ছিলেন স্বামী, দাম্পত্য বিবাদে খুন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। খুনের অভিযোগে স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।


এই একই দিনে স্বামীর গায়ে আগুন লাগিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে আন্দুলের পূর্বপাড়ায়। এই ঘটনায় স্ত্রী মুনমুন রায়কে গ্রেফতার করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। ধৃতকে আজ হাওড়া আদালতে তোলা হয়।


পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছে, ১৮ বছর আগে সাঁকরাইলের মাশিলা রায়পাড়ার বাসিন্দা বছর চল্লিশের কালিপদ রায়ের সঙ্গে ছত্রিশ বছরের মুনমুন রায়ের বিয়ে হয়। পেশায় শিল্পী কালিপদ ছবি আঁকা শেখাতেন। এরই পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও গান গাইতেন তিনি। তাঁদের ১৩ বছরের মেয়েও আছে। মুনমুনের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ তিনি  টাকা-পয়সা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি করতেন। স্বামী যাতে আরও বেশি টাকা উপার্জন করে নিয়ে আসে তার জন্যে কালিপদ বাবুর ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করতেন তাঁর স্ত্রী, এমনটাই অভিযোগ। বাধ্য হয়েই কালিপদ ছবি আঁকা শেখানোর পাশাপাশি ডোমজুড়ের জালান কমপ্লেক্সে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি নেন। কিন্তু তাতেও মেটেনি সমস্যা। বছর দুয়েক আগে কালিপদ বাবুর স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান। তখন থেকেই মুনমুন আলাদা থাকতে শুরু করেন। 


এ বছর দুর্গাপুজোর পর একাদশীর দিনে কালিপদ আন্দুল পূর্বপাড়ায় তাঁর স্ত্রীর বাড়ি যান। প্রতিবেশীরা বাড়ির বাইরে স্বামী ও স্ত্রীকে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখেন। এরপরই স্ত্রীর বাড়ির কাছেই কালিপদকে রাস্তায় দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা যায়। ওই অবস্থায় তিনি বাড়ির সামনে বেশ কিছুক্ষণ পড়েছিলেন বলেও অভিযোগ। সেই সময় স্ত্রী বা তাঁর বাড়ির লোকজন বাইরে বেরিয়ে আসেননি, এমনটাই খবর স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে। সেই দিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় কালিপদকে প্রথমে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গতকাল সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।