হিন্দোল দে, কলকাতা: যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়েরই চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিল্ডিং থেকে ৩০ লক্ষ টাকা বেশি মূল্যের সরঞ্জাম চুরি হয় বলে অভিযোগ। আজ সকালে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ধরা পড়েন অভিযুক্ত। পরে যাদবপুর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
এ যেন সর্ষের মধ্যেই ভূত। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ লক্ষ টাকার বেশি মূলের সরঞ্জাম চুরির অভিযোগে গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়েরই গ্রুপ ডি স্তরের কর্মী। কিছুদিন আগে চুরির বিষয়টি সামনে আসে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে দাবি, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সয়েল টেস্টিং ল্যাব থেকে ৩০ লক্ষ টাকা বেশি মূল্যের সরঞ্জাম চুরি হয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষে নজরে পড়ে গত ১৩ জুলাই। ১৪ জুলাই যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঘটনার পরই আঁটোসাঁটো করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের নিরাপত্তা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে দাবি, শুক্রবার ভোর ৬টা নাগাদ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিল্ডিংয়ের দরজার তালা, ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপর তাঁরা ওই বিল্ডিংয়ের একটি ঘর থেকে পাকড়াও করেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই গ্রুপ ডি কর্মী সুখদেব নস্করকে। এরপর কর্তৃপক্ষ পুলিশকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে ঢোকার অনুমতি দিলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে যাদবপুর থানায় নিয়ে যায়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, "করোনা পরিস্থিতি সপ্তাহে ৩ দিন খোলা থাকছে বিশ্ববিদ্যালয়। ১৪ জুলাই সিভিল ডিপার্টমেন্টের একটি ল্যাব তালা ভাঙা অবস্থায় দেখা যায়। আরেকটি ল্যাবে বাক্স পড়ে থাকলেও তাতে যন্ত্র ছিল না। বিভাগীয় প্রধান সহ অন্য অধ্যাপকরা আমার কাছে অভিযোগ জানান। এরপর যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।" এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, "গোটা ঘটনাটাই তদন্ত সাপেক্ষ। আগেও চুরির সঙ্গে যুক্ত কি না তা দেখছে পুলিশ।" এর সঙ্গে কোনও চক্র জড়িত আছে কি না তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যদিও অভিযুক্ত চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই ব্যক্তি। অভিযুক্ত সুখদেব নস্করের দাবি, আমি চুরি করিনি। ব্যাঙ্ক লোন দরকার। তাই এসেছিলাম। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তর কাছ থেকে উদ্ধরা হয়েছে ২টি ব্যাগ, লোহার রড, হেলমেট। ঘটনার সঙ্গে বড় কোনও চক্র জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।