কলকাতা : করোনাকালেও অব্যাহত প্রতারণাচক্র। এমনই এক প্রতারণার ফাঁদ নিয়ে এবার সতর্কবার্তা দিলেন কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি(অপরাধ) মুরলীধর শর্মা। এবার করোনা ভাইরাসের বুস্টার ডোজ নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা।


এনিয়ে ফেসবুকে এক সতর্কবার্তায় জয়েন্ট সিপি(অপরাধ) লিখেছেন, "মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার নতুন রাস্তা বের করেছে প্রতারকরা (Fraudsters)। কোভিড১৯ (Covid-19) এর বুস্টার ডোজ (Booster Dose) নিতে চান কি না জানতে চেয়ে প্রতারকরা ফোন করতে পারে বা মেসেজ পাঠাতে পারে। যদি "হ্যাঁ" বলেন, তাহলে তারা একটা লিঙ্ক পাঠাবে। তারপর সেই লিঙ্কে ক্লিক করতে বলবে। পরে জানতে চাইবে ওটিপি। সতর্ক থাকুন, এটি আপনার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটি চক্রান্ত ! এই ধরনের কোনও কল বা টেক্সট মেসেজ পেলে, লিঙ্কটি ডাউনলোড করবেন না। ওটিপিও শেয়ার করবেন না।" 


আরও পড়ুন ; অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ নিতে গিয়েই বিপত্তি, ব্ল্যাকমেলে ৭ লক্ষ টাকা খোয়ালেন মহিলা


দেশ তথা রাজ্যজুড়ে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলায় বুস্টার ডোজ নেওয়ার উৎসাহ তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যেই। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে প্রতারণার জাল নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।


এদিকে শহরে ফের প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ঋণ (Loan) নিতে গিয়ে প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেলের Blackmail) ফাঁদে পড়ে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা খোয়ানোর অভিযোগ ওঠে। দুর্গানগরের (Durganagar) বাসিন্দা এক মহিলা গত ১৮ ডিসেম্বর লেকটাউন থানায় (Laketown Police Station) দায়ের করেন অভিযোগ। তাঁর দাবি, তারপরেও ব্ল্যাকমেল ও হুমকি ফোন বন্ধ হয়নি।


অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে ঋণ নিতে গিয়ে প্রতারণার (Cyber Fraud Case) শিকার হন মহিলা। হুমকি ও ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ। অভিযোগ, ব্ল্যাকমেলের কারণে দিতে হয়েছে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা।
  
উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) দুর্গানগরের বাসিন্দা কাবেরী সাহা। গত বছরের এপ্রিলে বাবার অসুস্থতার জন্য সোশাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেখে একটি অনলাইন ঋণ দেওয়ার অ্যাপ ডাউনলোড করেন। আবেদন করেন ঋণ নেওয়ার।  তারপরই জড়িয়ে পড়েন প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেলের এক ভয়ঙ্কর ফাঁদে। 


অভিযোগকারিণীর দাবি, তিনি আবেদন করেন ১ লক্ষ টাকা ঋণের। কিন্তু তাঁকে মাত্র ৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তারপরই কয়েকগুণ বেশি টাকা ফেরতের দাবিতে তাঁকে হুমকি দেওয়া ও ব্ল্যাকমেল করা শুরু হয় বলে অভিযোগ।